চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আগামী বছরের পহেলা জুন থেকে কার্যকর হবে আইনগুলো। শনিবার ওই সংশোধিত আইন প্রবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির ‘ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটি’।
সংশোধিত আইনে, “শিশুদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করতে পারে এমন পণ্য ও সেবা দেওয়া থেকে চীনের ইন্টারনেট পণ্য ও সেবাদাতাদের বিরত” থাকতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও নাবালকদের কথা ভেবে সামাজিক মাধ্যম, অনলাইন গেইমিং ও লাইভস্ট্রিমের মতো অনলাইন সেবাদাতাদের “করেসপন্ডিং ফাংশন” তৈরি করতে হবে। ওই ফাংশনের অধীনে সুনির্দিষ্ট করে সেবা ব্যবহারের সময় ও খরচের সীমার মতো বিষয়গুলো দেওয়া থাকবে।
সংশোধিত আইন অনুসারে, সাইবার হয়রানি ঠেকাতেও ইন্টারনেট সেবাদাতাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। নাবালকের মা-বাবা, অভিভাবক সাইবার হয়রানির ব্যাপারে ইন্টারনেট সেবাদাতাকে জানাতে পারবেন, এবং সুনির্দিষ্ট লিংক মুছে দেওয়া, ব্লক করে দেওয়া বা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে পারবেন।
কিন্ডারগার্টেন ও স্কুলকে শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও যৌন অসদাচরণের শিকার হওয়ার ব্যাপারেও জন নিরাপত্তা ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে সংশোধিত আইনে।