কিউঅ্যানন কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউটিউব

কোনো ব্যক্তি বা দলকে লক্ষ্য করে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ায় - এমন কনটেন্ট নিষিদ্ধ করার খবর জানিয়েছে ইউটিউব। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এরকম কনটেন্ট “বাস্তব বিশ্বে সহিংসতাকেই সমর্থন” দেয়।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 01:12 PM
Updated : 17 Oct 2020, 01:12 PM

ইউটিউব উদাহরণ হিসেবে ‘কিউঅ্যানন’ এবং ‘পিৎজাগেইটের’ কথা বলেছে। দুটি মতবাদই ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাশাপাশি সংঘটিত সহিংস ঘটনাকে সমর্থন জানায়।

উগ্র দক্ষিণপন্থী কিউঅ্যানন তত্ত্ব অনুসারে শয়তান উপাসক ও শিশুনিপীড়ক এক গোপন সংগঠন বিশ্বব্যাপী শিশুপাচার চালাচ্ছে এবং এরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের শত্রু। পিৎজাগেইট নামের অপর ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ওই সময়ে ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। এই তত্ত্ব অনুসারে, ডেমোক্রেট দলের বেশ কিছূ শীর্ষ নেতা ওয়াশিংটন ডিসি'র বিশেষ কিছু রেস্তোঁরার যোগসাজসে মানব পাচার এবং শিশু যৌনতাভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিলো যা ওই হ্যাকিংয়ের ফলে ফাঁস হয়ে যায়।

মার্কিন পুলিশ বিভাগের তদন্তে পিৎজাগেইটের ওই দাবি ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এক ব্লগ পোস্টে ইউটিউব জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বিদ্বেষ এবং হয়রানিমূলক নীতির পরিধি বাড়াচ্ছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোয় এটি আরও বাড়বে।

সাম্প্রতিক সময়ে শুধু ইউটিউব নয়, অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম প্রতিষ্ঠানও ‘কিউঅ্যানন’ গোত্রীয় কনটেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। ফেইসবুক এ মাসের শুরুর দিকে জানিয়েছে, সব কিউঅ্যানন পেইজ, গ্রুপ ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে দেবে তারা। 

কিউঅ্যানন থেকে বিভিন্ন সময় নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয় বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। আর মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এরই মধ্যে কিউঅ্যানন গ্রুপকে ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদের সম্ভাব্য উস্কানিদাতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

ইউটিউব জানিয়েছে, ২০১৯ সালের জুনে নিজেদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নীতি আপডেটের পর থেকে এ পর্যন্ত কিউঅ্যানন সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার ভিডিও এবং চ্যানেল মুছে দিয়েছে তারা।

ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী সুসান ওজসিকি এ সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এ জাতীয় অধিকাংশ ইউটিউব ভিডিও এমন যে, সেগুলো সুনির্দিষ্ট ইউটিউব নীতি লঙ্ঘন করে না।

একেবারে সরিয়ে দিতে না পারলেও এক ইউটিউব মুখপাত্র জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকেই তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীকে ভুল তথ্য দিতে পারে বা তাদের ক্ষতি করতে পারে, এমন ‘প্রান্ত ঘেঁষা’ কনটেন্ট ‘রেকমেন্ডেড ভিডিও’ তালিকা থেকে সরিয়ে দিয়েছে।