এ ব্যাপারে রাতারাতি নতুন করে কোনো নিয়ম তৈরি করেনি মাইক্রোব্লগিং সাইট খ্যাত প্ল্যাটফর্মটি। গত এপ্রিল থেকেই এ ধরনের একটি নিয়ম রয়েছে টুইটারে।
“হয়রানিমূলক আচরণ” শীর্ষক ওই নিয়মের বরাত দিয়ে টুইটার জানিয়েছে, খোলাখুলিভাবে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু কামনা করে টুইট করলে ওই টুইট “মুছে দেওয়া হবে”, এবং যারা টুইট করছেন তাদের অ্যাকাউন্ট “রিড অনলি মোড” করে দেওয়া হবে।
“কনটেন্টে কারো মৃত্যু, গুরুতর শারীরিক ক্ষতি বা অন্য কোনো প্রাণঘাতী রোগের আশা, প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হলে, তা আমাদের নিয়ম বিরোধী হবে।” – এক বিবৃতিতে বলেছে টুইটার।
এক প্রতিবেদনে আমেরিকান-কানাডিয়ান ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ভাইস জানিয়েছে, ট্রাম্পের মৃত্যু কামনা করে টুইট করলেই টুইটারের নিয়মের আওতায় পড়বেন ব্যবহারকারীরা।
ভাইস আরও লিখেছে, টুইটার প্রতিদ্বন্দ্বী ফেইসবুকের বেলায় এ ঘটনাটি একটু অন্যরকম। তারকা ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের ভিন্নভাবে সেবা দেয় প্ল্যাটফর্মটি।
আলোচনা গড়ে উঠতে দেওয়ার খাতিরে একক ব্যক্তির মন্তব্য বা পোস্ট নিয়ে মাথা ঘামায় না ফেইসবুক, কিন্তু কোনো তারকা বা খ্যাতনামা ব্যক্তিকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণাত্মক কিছু লিখলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয় তারা।
এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, ফেইসবুকে ট্রাম্পের মৃত্যু প্রত্যাশা করে পোস্ট দিতে পারবেন বা মন্তব্য করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এ ধরনের পোস্ট বা মন্তব্যে ট্রাম্পকে ট্যাগ না করা হলে ব্যবস্থা নেবে না ফেইসবুক।
তবে, ট্রাম্পকে “উদ্দেশ্যমূলকভাবে মৃত্যু, গুরুতর অসুস্থতা, মহামারী বা অক্ষমতার” দিকে ঠেলে দিতে পারে এমন পোস্ট ও মন্তব্য মুছে দেবে প্ল্যাটফর্মটি।
সাধারণ মানুষ এবং তারকা ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের টুইটার আলাদা করে দেখে না বলেই উল্লেখ করেছে ভাইস।
ট্রাম্পের বেলায় টুইটার ঠিক কী করবে সে ব্যাপারে প্ল্যাটফর্মটির কাছে জানতে চেয়েছিল ভাইস। টুইটার জানিয়েছে, “প্রতিটি টুইটের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। আমরা ওই কনটেন্টগুলো সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেবো, যেগুলোতে বাস্তব বিশ্বে ক্ষতিসাধনের আশঙ্কা রয়েছে।”