শুক্রবার এ ব্যাপারে জানিয়েছেন টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি। ‘অসলো ফ্রিডম ফোরামের’ ভার্চুয়াল আয়োজনে অংশ নেন ডরসি। সেখানে তিনি চীন ও ইরানের মতো দেশগুলোর নেতৃস্থানীয়দের টুইটার ব্যবহারের পক্ষে কথা বলেছেন, এবং বিশ্বব্যাপী লেবেল জুড়ে দেওয়ার কথা জানান বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
‘অসলো ফ্রিডম ফোরাম’ আয়োজন করেছিল নিউ ইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন’। ডরসি সেখানে বলেন, রাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টের কর্মকাণ্ড প্রসঙ্গে ব্যবহারকারীদের আরও তথ্য দিতেই লেবেল জুড়বে টুইটার।
গত মাসেই প্রথমবারের মতো নিজেদের লেবেল ফিচার নিয়ে এসেছে টুইটার। প্রাথমিক অবস্থায় চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে লেবেল প্রয়োগ করেছে সাইটটি।
বিশ্বের অনেক ‘অ্যাক্টিভিস্ট’ টুইটার ব্যবহার করেন, বেশ কিছু ক্ষেত্রে তাদের ছদ্মনাম ব্যবহার করতে হয়। রয়টার্স জানিয়েছে, সৌদি আরব এবং চীনের মতো রাষ্ট্রে মানবাধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য ছদ্মনামের আশ্রয় নেন অ্যাক্টিভিস্টরা।
কিন্তু সমস্যা সৃষ্টি করছে ‘বট’ অ্যাকাউন্ট। এখনও সাইটটিতে ভুল তথ্য ছড়িয়ে যাচ্ছে অসংখ্য বট অ্যাকাউন্ট। এটি বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারায় সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে প্ল্যাটফর্মটিকে।
ডরসি জানিয়েছেন, বট সামাল দেওয়ার জন্য সংকেত ব্যবহার করা শুরু করেছে তাদের প্রতিষ্ঠান। নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি হওয়ার পর কত দ্রুত তা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ শুরু করছে, তা নজরে রাখা হচ্ছে এভাবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, টুইটার এ পন্থাতেই ভুল তথ্যের ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে লড়ছে, এবং ছদ্মনামের আশ্রয় গ্রহণকারী অ্যাক্টিভিস্টদের রক্ষা করছে। ডরসির ভাষ্যে, “ছদ্মনাম হলো গড়ে তোলা একটি পরিচয়, এটিকে আমরা মূল্যায়ন ও সুরক্ষিত করতে আগ্রহী।”
ইরান ও চীনের নেতৃস্থানীয়দের প্ল্যাটফর্মে ঠাঁই দিয়ে দ্বিমুখী মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে কি না টুইটার - ফোরামে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। জবাবে ডরসি বলেছেন, “তারা কীভাবে চিন্তা করছেন তা বুঝতে” ভুমিকা রাখছে বিষয়টি।
“এটি গুরুত্বপূর্ণ… বুঝতে সাহায্য করছে কীভাবে তারা নিজেদের শাসনের কথা গোটা বিশ্বে বলছেন।” – প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন ডরসি।