টিকে থাকাই এখন মূল লক্ষ্য: হুয়াওয়ে প্রধান

ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার পর হুয়াওয়েকে তড়িঘড়ি করে ‘চিপ’ মজুদ করতে হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের সরবরাহ কর্মকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Sept 2020, 12:46 PM
Updated : 24 Sept 2020, 12:46 PM

“ক্রমাগত মার্কিন সরকারের আগ্রাসন আমাদেরকে উল্লেখযোগ্য চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে।” – বলেছেন হুয়াওয়ে চেয়ারম্যান গুয়ো পিং। “এই মুহূর্তে, টিকে থাকাই মূল লক্ষ্য।” – যোগ করেছেন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রকে নিজ নিয়ম-নীতি পুনঃপর্যালোচনা করে দেখার অনুরোধ জানিয়েছে বলে উঠে এসেছে এক বিবিসি প্রতিবেদনে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ফোনের মতো পণ্যগুলোর জরুরি উপাদান কেনা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে হুয়াওয়ের জন্য।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের দোহাই দিয়ে হুয়াওয়ের মতো হার্ডওয়্যার উৎপাদক, এবং টিকটক ও উইচ্যাটের মতো অ্যাপভিত্তিক সেবাদাতাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। দুই বছর ধরে কোনো না কোনো দিক থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লড়তে হচ্ছে হুয়াওয়েকে। 

সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে প্রতিষ্ঠানটি আর মার্কিন উৎপাদকদের কাছ থেকে চিপ কিনতে পারছে না। আর তাই সাংহাইয়ে হুয়াওয়ের বার্ষিক শিল্প আয়োজনে চেয়ারম্যান পিং বলেছেন, পরিবর্তনটি “উৎপাদন ও পরিচালনায় বড় মাপের চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে।”

“চিপের বেলায় সেপ্টেম্বরের মধ্যবর্তী সময় থেকে আমরা তড়িঘড়ি করে কিছু সংগ্রহ করে রেখেছি।” – সাংবাদিকদের বলেছেন পিং।

হুয়াওয়ে জানিয়েছে, নিজেদের ৫জি কাঠামোর মতো বিটুবি বা ‘ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা’ কর্মকাণ্ড সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য যথেষ্ট সরবরাহ সংরক্ষণে রয়েছে। কিন্তু স্মার্টফোন ব্যবসায়ের বেলায় বিভিন্ন প্রধান প্রধান উপাদানে স্বল্পতা রয়েছে। এ জন্য নতুন সরবরাহকারী খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

পিংয়ের ভাষ্যে, সম্ভাব্য সূত্র হিসেবে রয়েছে কোয়ালকমের মতো প্রথম সারির চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। “যদি মার্কিন সরকার আমাদের অনুমোদন দেয়, তাহলে আমরা মার্কিন প্রতিষ্ঠান থেকেও পণ্য কিনতে রাজি।”

চিপ স্বল্পতা হুয়াওয়ের একমাত্র সমস্যা নয়। সামনে নিজেদের ফোনে অ্যান্ড্রয়েডের বদলে হারমোনি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।

চীনের ভাষ্যে, তাদের প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে ‘নগ্নভাবে হয়রানি’ করা হচ্ছে, মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিযোগিতা হটিয়ে দিতেই কাজটি করছে যুক্তরাষ্ট্র।