গেইমে মাথাব্যথার আরেক নাম লুট বক্স: নতুন ধরনের জুয়া?

ভিডিও গেইমসের ‘লুট বক্স’ ফিচারের প্রভাব কী – জানতে জনমত সংগ্রহ করছে যুক্তরাজ্য সরকার। প্রায় আট সপ্তাহ চলবে এই পরামর্শ গ্রহনের কাজ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2020, 03:06 PM
Updated : 23 Sept 2020, 03:06 PM

কনসোল এবং মোবাইল, দুটি মাধ্যমেই লুট বক্স ফিচারটি বিতর্কিত। পয়সা খরচ করার আগ পর্যন্ত লুট বক্সে কী রয়েছে, তা জানতে পারেন না লুট বক্স ক্রেতা। হতে পারে লুট বক্সে গেইমের জন্য প্রয়োজনীয় মূল্যবান কোনো কিছু পেয়েছেন গেইমার, আবার এমনও হতে পারে ভালো কোনো কিছুই পাননি তিনি। ব্যাপারটি অনেকটা জুয়ার মতো।     

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এ বিষয়টি নিয়ে গেইমার, তাদের বাবা-মা, এবং স্বল্প বয়সী গেইমারদের অভিভাবকের মতামত জানতে চাচ্ছে ‘ডিপার্টমেন্ট ফর ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট’। নভেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত এ বিষয়ে মতামত শুনবে প্রতিষ্ঠানটি।

বেলজিয়ামে ২০১৮ সাল থেকেই অর্থের বিনিময়ে লুট বক্স কেনা নিষিদ্ধ। বেলজিয়ামের নিয়ম মেনে কিন্তু ঠিকই লুট বক্স দিয়েছে ফোর্টনাইট। গেইমাররা যাতে আগেভাগেই দেখতে পান, কী কিনছেন তারা, সেরকম লুট বক্স নিয়ে এসেছিল গেইমটি।

অনেকদিন ধরেই লুট বক্সের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছে। অনেক গেইমারের জন্য এটি মজার একটি ব্যাপার, অল্প কিছু বিনিয়োগ করেই বড় বড় পুরস্কার জেতা সম্ভব হচ্ছে।

কিন্তু অনেক অভিভাবকের জন্য এটি বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি বাবা-মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খালি করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে অতীতে। অনেক প্রাপ্তবয়স্ক গেইমারও বিপাকে পড়েছেন এ ফিচার নিয়ে। ধীরে ধীরে ঋণ কবলিত হয়ে পড়েছেন এমন নজিরও রয়েছে।

যুক্তরাজ্যের ২০০৫ সালের ‘জুয়া আইন’ লুট বক্সকে ‘গেইম অফ চান্স’ বা ‘সুযোগের খেলা’ হিসেবে শ্রেণীভুক্ত করেছে। “কোনো পণ্য দেখে জুয়া মনে হলে, বা জুয়ার মতো লাগলে, তাকে জুয়া হিসেবেই নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।” – বলছে যুক্তরাজ্যের ২০০৫ সালের ‘জুয়া আইন’ প্রতিবেদন।

যুক্তরাজ্যের গ্যাম্বলিং কমিশনের মতে, এটি জুয়া নয়। কারণ হিসেবে তার বলছেন, বাক্সের ভেতরে অর্থ বা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার মতো কিছু নেই।

তবে, বিবিসি প্রতিবেদন বলছে, তৃতীয়-পক্ষীয় বেশ কিছু সাইট রয়েছে, যেখানে লুট বক্সের পুরস্কার কেনা যায়, বিক্রিও করা যায়। ‘স্কিন বেটিং’ নামের এ কাজটি করতে গেইম প্রকাশকরা নিষেধ করেন বলেও জানিয়েছে বিবিসি।