সম্পাদকীয়তে সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে, “যুক্তরাষ্ট্র টিকটকের সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা একজন সন্ত্রাসীর কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠানের উপর অযৌক্তিক ও অন্যায্য ব্যবসায়িক চুক্তি চাপিয়ে দেওয়ার শামিল।”
যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্সের টিকটক। ফলে টিকটকের মার্কিন ব্যবসা বাঁচাতে ওরাকল ও ওয়ালমার্টের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় বাইটড্যান্স।
প্রস্তাবিত চুক্তি অনুসারে, টিকটক গ্লোবাল নামে নতুন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে, এর ৮০ শতাংশ মালিকানা বাইটড্যান্সের হাতে থাকবে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে ওরাকল। এ ছাড়াও মালিকানা স্বত্ত্ব নেবে প্রতিষ্ঠানটি। ডেটা সুরক্ষা নিশ্চিতে সোর্স কোড পরীক্ষা করে দেখার ক্ষমতাও থাকবে ওরাকলের হাতে।
এরইমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চুক্তিটিতে “আশীর্বাদ” রয়েছে তার। ট্রাম্পের বক্তব্যের পরপরই টিকটকের সময়সীমা সাত দিন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন চুক্তিতে শুধু চীনের অনুমোদন লাগবে বাইটড্যান্সের।
“রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে … ওয়াশিংটন, এভাবে ইচ্ছা হলেই মার্কিন প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ভালো করছে এমন বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আর উপরে উঠতে দিচ্ছে না দেশটি।” – বলছে চায়না ডেইলির ওই সম্পাদকীয়।
সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, “বাইটড্যান্স যে শুধু প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ হারাবে তা নয়, নিজেদের তৈরি ও মালিকানায় থাকা মূল প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণও হারাবে। এরকম একটি চুক্তিতে চীনের অনুমোদন দেওয়ার কোনো কারণ নেই।”
চীনের আরেক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’ সোমবার প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে অনেকটা একই কথা জানিয়েছে। ওই সম্পাদকীয়র পরপরই এ ব্যাপারে নিজেদের সম্পাদকীয় ছেপেছে চায়না ডেইলি।
উল্লেখ্য, চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির পিপল’স ডেইলি’র অধীনে প্রকাশিত হয় গ্লোবাল টাইমস।
মঙ্গলবার প্রকাশিত পৃথক এক সম্পাদকীয়তে চুক্তিটিকে “চাঁদাবাজি” আখ্যা দিয়ে গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, “বড় দেশ হিসেবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাকমেইল সহ্য করবে না, উচ্চ-প্রযুক্তির চীনা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণও চাঁদাবাজদের হাতে দেবে না।”