শিশুদের বিজ্ঞাপনের বাইরে চান ব্রিটিশ নাগরিক ও জনপ্রতিনিধিরা

এক খোলা চিঠিতে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরকে বিজ্ঞাপনের আওতার বাইরে রাখতে বলছেন এক দল বি্রিটশ নাগরিক ও জনপ্রতিনিধি। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্যে লেখা ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাজ্যের এমপি, শিক্ষাবিদ ও শিশু-অধিকার সমর্থকরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Sept 2020, 09:20 AM
Updated : 19 Sept 2020, 09:20 AM

চিঠিতে লেখা, আচরণগত বিজ্ঞাপন শুধু গোপনতাকে দুর্বল করে না, “সহজে প্রভাবিত হতে পারেন” এমন স্বল্প বয়সীদেরকেও অন্যায্য বাজার চাপের মুখে ফেলে। বিবিসি জানিয়েছে, গুগল, অ্যামাজন, অ্যাপল, ফেইসবুক এবং মাইক্রোসফটের উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে চিঠিটি।

সবমিলিয়ে ২৩ জন এমপি স্বাক্ষর করেছেন ‘ফ্রেন্ডস অফ দ্য আর্থ’ বা ‘পৃথিবীর বন্ধুগণ’ শিরোনামের চিঠিটিতে। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন এমপি ক্যারোলাইন লুকাস ও ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী ড. এলি হ্যানসন। পুরো পদক্ষেপটি সমন্বয় করেছে ‘গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান’।

গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের ভাষ্যে, অনলাইন বিজ্ঞাপন ভোগবাদকে ত্বরান্বিত করছে, এবং বিশ্বে অপ্রয়োজনীয় চাপ বাড়াচ্ছে।

পৃথক আরেক পদক্ষেপে গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবকে অবৈধভাবে ১৩ বছর বয়সী ৫০ লাখ শিশুর ডেটা সংগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে যুক্তরাজ্যে।

ইউরোপীয় ডেটা সুরক্ষা আইন অনুসারে, ইউরোপে স্বল্প বয়সীদের ডেটা সংগ্রহ নিষিদ্ধ।

“শিশুর ১৩ বছরে পা রাখার সময় আসতে না আসতেই বিজ্ঞাপন-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছে তার সাত কোটি ২০ লাখ ডেটা পয়েন্ট থাকা, এবং শিশুদেরকে লক্ষ্য করে বিশেষ নজরদারি চালানোর বিষয়টি এই আইনগুলোর অবজ্ঞাকে তুলে ধরে।” – লেখা হয়েছে চিঠিটিতে।

“কিশোর বয়সীদেরকে লক্ষ্য করে ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপন দেওয়া যেমন ন্যায্য নয়, তেমনি ঠিক একই হিসেব খাটে ১২ বছর বয়সীদের বেলাতেও। আপনাদের, ইন্টারনেটে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানগুলোর, নিজ ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব রয়েছে।” – যোগ করা হয়েছে চিঠিতে।

চিঠিতে উল্লেখিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে মন্তব্য করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো প্রতিষ্ঠান মন্তব্য করেনি।

অন্যদিকে, ৫০ লাখ ব্রিটিশ শিশুর পক্ষে গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গোপনতা সমর্থক ডানকান ম্যাকান। জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের হাই কোর্টে দায়ের করা হয়েছে মামলাটি।

মামলায় ম্যাকান দাবি করেছেন, শিশুদেরকে অনলাইনে ট্র্যাক করে গোপনতা আইন ভেঙেছে ইউটিউব। লঙ্ঘন করা হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ডেটা সুরক্ষা আইন।