বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, বুধবার যুক্তরাজ্যের প্লেমাথ বন্দর থেকে যাত্রা করবে ‘মেফ্লাওয়ার অটোনমাস শিপ’। এই যাত্রায় প্লাস্টিকের নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি সামুদ্রিক জীবনের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করবে জাহাজটি।
নাবিকবিহীন এই স্বয়ংক্রিয় জাহাজটিকে দিক নির্দেশনা দেবে আইবিএম-এর তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি রোবট। দুই সপ্তাহে আটলান্টিক পাড়ি দেবে জাহাজটি। এর আগে সাগরে ছয় মাসের পরীক্ষা শেষ করবে রোবট মেফ্লাওয়ার।
১৬২০ সালে মূল মেফ্লাওয়ার জাহাজটির আটলান্টিক পাড়ি দিতে সময় লেগেছিল দুই মাসের বেশি।
মূল মেফ্লাওয়ারটি ছিল কাঠের তৈরি তিন মাস্তুলের পাল তোলা জাহাজ। এটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিলো তিন নট। ১০২ জন যাত্রী এবং প্রায় ৩০ জন নাবিক নিয়ে প্লেমাথ থেকে ম্যাসাচুসেটসের কেইপ কডে গিয়েছিল জাহাজটি।
২০২০ সালের মেফ্লাওয়ার সংস্করণটি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিটে তৈরি। সৌর শক্তি চালিত ব্যাটারির মাধ্যমে যাত্রা করবে জাহজটি। রোবট মেফ্লাওয়ার জাহাজটি বানিয়েছে অলাভজনক সংস্থা প্রোমেয়ার। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০ নট। ব্যাকআপের জন্য এতে একটি ডিজেল জেনারেটরও রয়েছে।
যাত্রী ও নাবিকের বদলে জাহাজটি প্রযুক্তি দিয়ে ভর্তি। এতে রয়েছে, লিডার, রেডার, ক্যামেরা এবং জিপিএস অ্যান্টেনাসহ অন্যান্য প্রযুক্তি।
জাহাজটির বিষয়ে আইবিএম-এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা অ্যান্ডি স্ট্যানফোর্ড-ক্লার্ক বলেন, “সম্ভাব্য বিপত্তি এড়াতে স্ক্যান করতে, বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত নিতে এবং লাইভ ডেটার ওপর ভিত্তি করে দিক পরিবর্তন করতে পারে জাহাজটি।”
এমএএস৪০০ ওয়েবসাইট থেকে জাহাজটির অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারবেন যে কেউ। জাহাজটির সমুদ্রযাত্রার গতিপথ এবং নমুনার তথ্যও পাওয়া যাবে এই ওয়েবসাইটে।