২০০৭ সালে কার্বন নিরপেক্ষ হয়েছে গুগল। অর্থাৎ ২০০৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের মাধ্যমে নতুনভাবে কোনো কার্বন নির্গমন হচ্ছে না।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, ২০০৭ সালের আগে নির্গমন হওয়া কার্বনের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, এবার পরিবেশ সহায়ক কার্বন অফসেট উপাদান ছড়ানোর মাধ্যমে সেই ক্ষতিও পুষিয়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০৩০ সালের মধ্যে সব ডেটা সেন্টার এবং কার্যালয় কার্বনমুক্ত শক্তিতে চালানোর অঙ্গীকারও করেছেন গুগল প্রধান সুন্দার পিচাই। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রমের জন্য শুধু কার্বনমুক্ত শক্তি ব্যবহারের অঙ্গীকার গুগলের “স্থায়িত্বের দিক থেকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ভাবনা।”
পিচাই আরও বলেছেন, “আমরা বায়ু এবং সৌর শক্তির উৎসকে একসঙ্গে ব্যবহারের মতো কাজ করবো এবং ব্যাটারি স্টোরেজের ব্যবহার বাড়াবো।”
“আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহার আরও সাশ্রয়ী করতে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগানোর পথ খুঁজবো।”
কার্বনের ব্যবহার পুরোপুরি বাদ দেওয়া বা কমানোর অঙ্গীকার করেছে অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও।
এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরবর্তী পাঁচ বছরের আরও ১২ হাজার চাকুরি তৈরি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন পিচাই।
গুগল আরও জানিয়েছে, পরিবেশভিত্তিক সমাধানেও তারা নজর রাখছে। যেমন গাছ লাগানোর মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড আটকানো।
এক্ষেত্রে যে প্রতিষ্ঠানগুলোই গাছের মাধ্যমে কার্বন নির্গমন আটকাতে চাচ্ছে তাদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে ওই গাছগুলো কাটে ফেলা বা পুড়িয়ে দেওয়া না হয়।