জাপানি সফটব্যাংক থেকে মার্কিন এনভিডিয়ার হাতে যাচ্ছে ব্রিটিশ এআরএম

চার হাজার কোটি ডলারের বিনিময়ে সফটব্যাংকের কাছ থেকে সেমিকন্ডাক্টর নকশা প্রতিষ্ঠান এআরএম কেনার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন চিপ নির্মাতা এনভিডিয়া।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2020, 10:51 AM
Updated : 14 Sept 2020, 10:51 AM

প্রযুক্তিবিষয়ক ব্লগ এনগ্যাজেট মন্তব্য করেছে, মোবাইল কম্পিউটিং, বিশেষ করে স্মার্টফোন, পিসি এবং স্বচালিত গাড়ির প্ল্যাটফর্মে নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি আনতে এনভিডিয়াকে সাহায্য করবে মালিকানা হাতবদলের এ চুক্তিটি।

এ চুক্তির বদৌলতে লাভবান হবে এআরএম’ও। নিজেদের গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টায় আরও বেশি সমর্থন পাবে প্রতিষ্ঠানটি, প্রবেশাধিকার মিলবে এনভিডিয়ার পণ্য সমাহারেও।

এনভিডিয়া অবশ্য এরইমধ্যে জানিয়েছে, এআরএম সিপিইউ ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সুপারকম্পিউটার তৈরি করবে তারা। সুপারকম্পিউটারটি কেমব্রিজে এআরএমের প্রধান কার্যালয়ে থাকবে।

“আমাদের সময়ের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রযুক্তি খাত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি, এটি নতুন ধারার কম্পিউটিং নিয়ে এসেছে। আগামী বছরগুলোতে শত শত কোটি কম্পিউটারে থাকা এআই আরও নতুন অনেক ‘ইন্টারনেট অফ থিংস’ তৈরি করবে, এবং আজকের ইন্টারনেট-অফ-পিপলের’ তুলনায় তা হাজার গুণ বড় হবে। আমাদের সমন্বয় এআই যুগের জন্য যথযাথ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে।” – এক বিবৃতিতে বলেছেন এনভিডিয়া প্রধান নির্বাহী জেনসেন হুয়াং।

এনভিডিয়া এআরএম কিনলেও, একা এআরএমের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে না। অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যমান গ্রাহককে ‘লাইসেন্সিং মডেল’ দেবে।

এআরএমের প্রযুক্তি নিজেদের গ্রাফিক্স চিপে ব্যবহার করতে পারে এনভিডিয়া। মালিকানা হাতবদলের চুক্তিটি এনভিডিয়াকে বাজার প্রতিদ্বন্দ্বী এএমডি থেকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাবে।

এরই মধ্যে এনভিডিয়া এবং এআরএম বোর্ড মালিকানা হাতবদলে অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু শুধু তাতেই হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন নিতে হবে প্রতিষ্ঠান দুটির।

সব ঠিক থাকলে ১৮ মাসের মধ্যে পুরোপুরি সম্পন্ন হবে মালিকানা হাতবদলের চুক্তিটি।