টিকটকের মার্কিন ব্যবসা বিক্রি করবে না বাইটড্যান্স

টিকটকের মার্কিন ব্যবসা বিক্রির পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে বাইটড্যান্স। এর পরিবর্তে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সঙ্গে অংশীদারিত্বে যেতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2020, 09:28 AM
Updated : 14 Sept 2020, 09:35 AM

বাইটড্যান্স আশা করছে, এভাবে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার হাত থেকে টিকটক রেহাই পাবে, অন্যদিকে চীন সরকারও সন্তুষ্ট হবে। সম্প্রতি বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সূত্ররা এমনটাই জানিয়েছেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

টিকটকের মার্কিন ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার জন্য অনেকদিন ধরেই মাইক্রোসফট ও ওরাকলের সঙ্গে আলোচনা করছিলো বেইজিং ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স।

টিকটকের মাধ্যমে ছোট আকারের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে তা শেয়ার করা যায়। মার্কিন কিশোর বয়সীদের মধ্যে অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু নিজ দেশের ব্যবহারকারীদের টিকটক ডেটার গোপনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা।

তাদের দাবি, চীন চাইলেই মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা দিয়ে দিতে হবে টিকটককে। তবে, এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার বলেছে, তাদের কাছে কোনো ডেটা চায়নি চীন, ভবিষ্যতে চাইলেও তারা দেবে না।

কিন্তু মন গলেনি মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের। দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে টিকটকের মার্কিন ব্যবসা গুটানোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনা্ল্ড ট্রাম্প।

এ মাসের শুরুতে মোট চারটি পন্থায় বাইটড্যান্সের কাছ থেকে টিকটক কেনার ব্যাপারে আলোচনা করেছে সম্ভাব্য ক্রেতারা। এমনকি মূল সফটওয়্যার বাদ রেখে শুধু টিকটকের মার্কিন ব্যবসা কেনার কথাও উঠে এসেছিল আলোচনায়।

ওরাকলের সঙ্গে টিকটকের নতুন অংশীদারিত্বের চুক্তিতে প্রস্তাব রাখা হয়েছে, ওরাকল টিকটকের প্রযুক্তি অংশীদার হবে এবং মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেবে।

এক সূত্র জানিয়েছেন, টিকটকের মার্কিন ব্যবসার মালিকানা পেতে ওরাকল এখনও আলোচনা চালাচ্ছে।

বাইটড্যান্সের কিছু শীর্ষ বিনিয়োগকারীকে টিকটকের মার্কিন ব্যবসায় স্বল্প হারে মালিকানা স্বত্ত্ব দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেনারেল আটলান্টিক ও সিকোইয়ার মতো বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও থাকবে বলে উল্লেখ রয়েছে প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এ চুক্তিকে সামনে আগানোর অনুমোদন দেবেন কি না, সে বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। ওরাকল ও বাইটড্যান্সের আলোচনা তত্ত্বাবধায়ন করছে ‘দ্য কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটস’ (সিএফআইইউএস)। সব ধরনের সম্ভাব্য রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ঝুঁকি পর্যালোচনা করছে মার্কিন সরকারি এ প্যানেলটি।

বাইটড্যান্স ও ওরাকল তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

প্রযুক্তি বিশ্বে ডনাল্ড ট্রাম্পের যে কয়েকজন সমর্থক রয়েছেন, তাদের মধ্যে ওরাকল চেয়ারম্যান ল্যারি এলিসন অন্যতম। তবে, ওরাকলের সামাজিক মাধ্যম পরিচালনার কোনো অভিজ্ঞতা নেই। সাধারণ ভোক্তার বদলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকেই সেবা দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।

বর্তমানে টিকটক ব্যবহারকারীদের ডেটা গুগলের মালিক প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের ক্লাউডে সংরক্ষিত হচ্ছে।       

বাইটড্যান্স টিকটকের মার্কিন ব্যবসা বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত মাইক্রোসফটকেও জানিয়েছে। রোববার এ সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট খ্যাত প্রতিষ্ঠানটি।