“হয় এটি বন্ধ হয়ে যাবে, নয় তারা ব্যবসা বিক্রি করে দেবে।” – বৃহস্পতিবার মিশিগানে সাংবাদিকদের বলেছেন ট্রাম্প। তিনি আরও বলেছেন, “টিকটকের শেষ সময় আর বাড়ানো হবে না।”
রয়টার্স জানিয়েছে, এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক।
টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সও সোশাল ভিডিও অ্যাপটির মার্কিন ব্যবসা মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য ক্রেতা খুঁজছে।
ছোট আকারের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে তা শেয়ার করা যায় প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে। মার্কিন কিশোর বয়সীদের মধ্যে অ্যাপটি বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু নিজ দেশের ব্যবহারকারীদের টিকটক ডেটার গোপনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা। তাদের দাবি, চীন চাইলেই মার্কিন ব্যবহারকারীদের ডেটা দিয়ে দিতে হবে টিকটককে।
যদিও এ ব্যাপারটি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটি একাধিকবার বলেছে, তাদের কাছে কোনো ডেটা চায়নি চীন, ভবিষ্যতে চাইলেও তারা দেবে না।
কিন্তু মন গলেনি মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের। দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে টিকটকের মার্কিন ব্যবসা গুটানোর বন্দোবস্ত করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
সম্প্রতি ট্রাম্পের সুরে সুর মিলিয়েছেন রিপাবলিকার সিনেটর জশ হলি। বৃহস্পতিবার হলি জানান, টিকটককে বাড়তি সময় না দেওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করছেন তিনি। পুরো টিকটক বিক্রি হবে না এমন ফলাফলের ব্যাপারে তার সমর্থন নেই বলেও উল্লেখ করেছেন হলি।
এ মাসের শুরুতে মোট চারটি পন্থায় বাইটড্যান্সের কাছ থেকে টিকটক কেনার ব্যাপারে আলোচনা করেছে সম্ভাব্য ক্রেতারা। এমনকি মূল সফটওয়্যার বাদ রেখে শুধু টিকটকের মার্কিন ব্যবসা কেনার কথাও উঠে এসেছিল আলোচনায়।
হলি বলেছেন, “আমি নিশ্চিত যে কোডে বেশ কয়েকটি ব্যাকডোর রয়েছে এবং বাইটড্যান্স জানে কোথায় কোনটি রয়েছে। আর তাই একটি পরিষ্কার এবং পৃথক বিভক্তি প্রয়োজন।”