বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, সামনের মাস থেকে আয়ারল্যান্ডের কাউন্টি গ্যালওয়েতে টেসকোর ওরানমোর স্টোর থেকে পণ্য নিয়ে তা আশপাশের অঞ্চলগুলোতে সরবরাহ করবে ড্রোন।
টেসকোকে ড্রোনগুলো দেবে আয়ারল্যান্ডের মানা। ইতোমধ্যেই আয়ারল্যান্ডে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ সরবরাহ সেবার পরীক্ষা চালাচ্ছে ড্রোনভিত্তিক পণ্য সরবরাহ প্রতিষ্ঠানটি।
ড্রোনের নিচের দিকে কার্গোতে সর্বোচ্চ চার কেজি পণ্য নিয়ে ঘন্টায় ৮০ কিলোমিটার বেগে উড়বে ড্রোনগুলো। এই গতিতে এক মাইল দূরত্বে পণ্য সরবরাহ করতে ড্রোনটির সময় লাগবে তিন মিনিট।
মার্চ মাসে খাবার সরবরাহ সেবার পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলো মানা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারীতে পরিকল্পনা বদলে ওষুধ সরবরাহ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।
বর্তমানে মানিগাল শহরে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি পণ্য সরবরাহ করছে মানা।
২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথমবারের মতো ড্রোনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে পণ্য সরবরাহ করে মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। অর্ডার আসার ১৩ মিনিটের মধ্যে কেমব্রিজের গুদাম থেকে স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছে পণ্য সরবরাহ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের এপ্রিলে যুক্তরাজ্য সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে, আরও বড় ড্রোনের মাধ্যমে মূল ভূখণ্ড থেকে আইল অফ ওয়াইটে হাসপাতালের জন্য জরুরি পণ্য সরবরাহ করা যেতে পারে।
এদিকে কিছু কিছু ড্রোন পরীক্ষার বিরোধিতা করেছেন অনেক বাসিন্দা। ড্রোনগুলো অনেক বেশি শব্দ করে বলে দাবি তাদের।
গত বছর ইনস্টিটিউট অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্সের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, নিরাপত্তা এবং শব্দ নিয়ে উদ্বেগের কারণে ড্রোনের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের বিষয়টি সমর্থন করেছেন যুক্তরাজ্যের মাত্র এক চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি।