শুক্রবার ইনার মঙ্গোলিয়ার জিকুয়ান লঞ্চ সেন্টার থেকে ‘লং মার্চ-২এফ’ রকেটের সাহায্যে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করেছে চীন। দুই দিন কক্ষপথে ঘুরে রোববার নির্দিষ্ট স্থানে সফলভাবে অবতরণ করেছে এটি। এই সাফল্যকে “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” দাবি করেছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া।
প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য খুবই কম। আনুষ্ঠানিকভাবে মহাকাশযানটির কোন ছবিও প্রকাশ করেনি চীন।
চীনে পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান প্রযুক্তির গবেষণার ক্ষেত্রে এই ঘটনাকে শিনহুয়া “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” বলেছে কারণ, এর মাধ্যমে “শান্তিপূর্ণ” উদ্দেশ্যে মহাকাশে আরও “সহজে এবং কম খরচে” যাতায়াত করা যাবে।
মহাকাশ যাত্রায় খরচ কমানোর একটি পথ হিসেবেই দেখা হয় পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানগুলোকে। এক্স-৩৭বি নামের মার্কিন একটি পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান ইতোমধ্যেই অনেকগুলো অভিযান শেষ করেছে।
মহাকাশ প্রকল্পের উন্নয়নে নজর বাড়িয়ে চলেছে চীন। এই খাতে দেশটির সাফল্যও কম নয়।
চলতি বছর জুন মাসে বেইডৌ স্যাটেলাইট ব্যবস্থার কাজ শেষ করেছে চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম-এর (জিপিএস) প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে চীনের এই স্যাটেলাইট ব্যবস্থা।
এদিকে জুলাই মাসেই মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশ্যে প্রথম একক অভিযান শুরু করেছে চীন।
এ ছাড়াও গত বছর চাঁদের ‘অন্ধকার পাশ’ নামে পরিচিত অংশে মহাকাশযান নামানো প্রথম দেশের খেতাব লাভ করেছে চীন।