ডাকযোগে বীজ: কঠোর অবস্থানে অ্যামাজন

বিদেশ থেকে আসা বীজ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করতে দিচ্ছে না অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট অ্যামাজন। কিছুদিন আগেই হাজারো মার্কিনী ডাকযোগে এক প্যাকেট করে বীজ পেয়েছেন, ওই বীজ প্যাকেটের অধিকাংশই এসেছে চীন থেকে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Sept 2020, 07:45 AM
Updated : 7 Sept 2020, 07:45 AM

ঘটনাটির পরে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে বিদেশি বীজ বিক্রি বন্ধ করেছে অ্যামাজন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অপরিচিত কোনো উৎসের বীজ বপন করা উচিত হবে না মালীদের। অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নির্ভর বিক্রেতাদেরকে নিজ প্ল্যাটফর্মে বীজ বিক্রি করতে দেবে।

এ ব্যাপারে নতুন নীতিমালাও কার্যকর করেছে অ্যামাজন। সেপ্টেম্বরের তিন তারিখ থেকে কার্যকর হওয়া ওই নীতিমালায় যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও মার্কিন নাগরিক নন এমন ব্যক্তিদেরকে বীজ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বীজ বিষয়ে অ্যামাজনের নীতি পরিবর্তনের খবর প্রথম প্রতিবেদনে জানায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

অন্যান্য দেশেও প্রতিষ্ঠানটির নতুন ওই নীতি আগামীতে কার্যকর হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।

ধারণা করা হচ্ছে, হুট করে এভাবে বীজ আসার ঘটনাটি বৈশ্বিক এক “ব্রাশিং” স্ক্যামের অংশ।  অনলাইন বিক্রেতা সাইটগুলোকে ইতিবাচক রিভিউ পেতে সাহায্য করে এ ধরনের স্ক্যামটি।

‘ব্রাশিং’ স্ক্যামে বিক্রেতা বীজ বা আংটির মতো স্বল্প মূল্যের কোনো পণ্য বিনামূল্যে পাঠায়, এবং পরে সেটিকে বিক্রি হিসেবে দেখিয়ে ভুয়া অনলাইন রিভিউ সংগ্রহ করে। আর ওই রিভিউয়ের মাধ্যমে অনলাইনে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায়।

রহস্যময় ওই প্যাকেজের অন্তত ১৪টি বীজ শনাক্ত হয়েছে, প্যাকেটে পুদিনা, ল্যাভেন্ডার ও গোলাপের বীজ ছিলো। অগাস্টের ১১ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞরা বীজ পরীক্ষা করে সেগুলোতে কিছু সমস্যা পেয়েছেন। চীন ওই তদন্তে সহায়তা করছে বলেও উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।

শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও এরকম বীজের প্যাকেট পেয়েছেন। গত মাসে স্কটিশ কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে এ ধরনের বীজ ব্যবহার করতে মানা করেছিলেন। তাদের শঙ্কা ছিল, ওই বীজ ব্যবহারে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।