নির্বাচনের আগে নতুন রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নেবে না ফেইসবুক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে নিজ প্ল্যাটফর্মে নতুন কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চলতে দেবে না ফেইসবুক। তবে, পুরোনো বিজ্ঞাপনের বেলায় কোনো সমস্যা নেই।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2020, 11:31 AM
Updated : 4 Sept 2020, 11:53 AM

ভিন্ন ভিন্ন গ্রাহককে লক্ষ্য করে সেগুলো প্রচারের সুযোগ থাকছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিবিসি।  সম্প্রতি এ ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন সোশাল জায়ান্ট খ্যাত এ প্রতিষ্ঠানটি৷

এ বছরের নভেম্বরের ৩ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সম্প্রতি ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ সামাজিক মাধ্যমটিতে দেওয়া এক পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছেন। মানুষের মতবিরোধ থেকে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কায় "শঙ্কিত" বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ভোট গণনার আগেই কোনো প্রার্থী বিজয়ের ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ওই পোস্ট চিহ্নিত করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জাকারবার্গ। 

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম এ প্ল্যাটফর্মটিতে 'মাইক্রো-টার্গেট' বা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে। 

ইন্টারনেট ব্রাউজিং বিষয়ক সেবাদাতা মোজিলা ফাউন্ডেশনের মতে, এই সুযোগের কারণে রাজনীতিবিদ ও তাদের সমর্থকরা সহজেই ‘জল্পনা’ ছড়িয়ে দিতে পারেন। ফেইসবুক অবশ্য আগেই জানিয়ে রেখেছে, কোনো প্রার্থীর দেওয়া বিজ্ঞাপনের সত্যতা যাচাই করে না তারা।

বিবিসি মন্তব্য করেছে, ফেইসবুকের বর্তমান এ পদক্ষেপ, ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠানটি নির্বাচন কীভাবে সামলাবে তার দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোটারদেরকে দুইবার করে ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন, যা আইনত অবৈধ। ট্রাম্পের ওই ভিডিও এবং ওই ধরনের অন্যান্য ভিডিও সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ফেইসবুক।

প্রতিষ্ঠানটির ভাষায়, "ভোটার জালিয়াতি রোধে আমাদের বিদ্যমান নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে ওই ভিডিও।  রেকর্ডটি ঠিক করে প্রকাশ না করলে আমরা তা সরিয়ে দেব।" 

ভোট জালিয়াতির কারণে নির্বাচন "প্রভাবিত" হতে পারে বলে দাবি করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প । যদিও আগের নির্বাচনের বড় কোনো ভোট জালিয়াতির প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। 

জাকারবার্গ বলেছেন, "এবারের নির্বাচন অন্যান্যবারের মতো হবে না।"

“আমাদের দেশ এখন এতো বিভক্ত যে চূড়ান্ত নির্বাচনী ফলাফল আসতে যে কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে, সে সময়ের মধ্যে দেশজুড়ে নাগরিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে।”  - যোগ করেছেন জাকারবার্গ।

ফেইসবুকে গুজব এবং মিথ্যা সংবাদ ছড়ানো বন্ধে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও নেবে ফেইসবুক। এগুলো হচ্ছে-

# নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে থেকে নতুন কোনো রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন নেওয়া হবে না। 

#ভোটে অংশ নিলে কোভিড-১৯ হবে - এমন দাবি করা পোস্টগুলো সরিয়ে দেওয়া হবে।

#চূড়ান্ত ফলাফল আসার আগে কোনো প্রার্থী বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে পোস্ট দিলে তা চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

এ ছাড়াও ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ ছড়ানো বন্ধ করতে ফেইসবুক নিজ নীতিমালা আরও “দৃঢ়” করেছে বলে দাবি করেছেন জাকারবার্গ।