স্যামসাং উত্তরসূরির বিরুদ্ধে এবার হিসাব জালিয়াতির অভিযোগ

স্যামসাং উত্তরসূরি লি জেই-ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ এনেছে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠান একত্রিকরণে লির ভূমিকা নিয়ে এবার শেয়ার এবং হিসাব জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2020, 03:12 PM
Updated : 1 Sept 2020, 03:12 PM

স্যামসাং গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিতেই লি এমনটা করেছেন বলে দাবি ওই আইনজীবীর। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্যামসাং কর্ণধার।

প্রতিষ্ঠান একত্রিকরণ চুক্তিতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৭ সালে লিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দক্ষিণ কোরীয় আদালত। পরে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও বাতিল করেছে আদালত।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, নতুন অভিযোগের বিচার কাজ শুরু না হওয়ায় এখনই সম্ভবত আটক করা হবে না লিকে।

এরই মধ্যে নাগরিকদের একটি প্যানেল পরামর্শ দিয়েছে যে, লির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা উচিত নয়। প্যানেলের এই পরামর্শের বিরোধিতা করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী।

২০১৫ সালে স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি এবং চেউল ইন্ডাস্ট্রিজ নামে স্যামসাংয়ের দুইটি ব্যবসা বিতর্কিতভাবে একত্রিকরণের কারণে জুন মাসে দ্বিতীয় দফায় লিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী।

২০১৭ সালে প্রথম গ্রেপ্তার হন লি। স্যামসাং গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইকে ঘুষ দিয়েছিলেন, এমন অভিযোগের পাশাপাশি তহবিল আত্মসাত এবং অন্যান্য অভিযোগে লিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। ওই কেলেঙ্কারিতে শেষ পর্যন্ত অভিশংসনের শিকার হন দেশটির প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান।

রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার আশায় পার্কের বন্ধু চই সু-সিল পরিচালিত দুইটি অলাভজনক সংস্থায় তিন কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলারের অনুদানের সত্যতা সে সময়ে পেয়েছে আদালত।

স্যামসাংয়ের প্রতিষ্ঠান দু’টি ২০১৫ সালে একত্রিকরণের জন্য দক্ষিণ কোরীয় সরকারের অবসরভাতা তহবিলের সমর্থন দরকার ছিলো। প্রেসিডেন্ট পার্কের বন্ধুর অলাভজনক সংস্থায় ওই অনুদানের মাধ্যমে স্যামসাং এই সমর্থন পেয়েছে বলে আদালত নিশ্চিত হয়।

আদালতে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লি। অনুদানের কথা স্বীকার করলেও এর বদলে স্যামসাং কিছু দাবি করেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৭ সালের অগাস্টে লিকে দোষী সাব্যস্ত করে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ছয় মাস পর সাজা অর্ধেক করে লি’র কারাদণ্ড বাতিল করে সিউল হাই কোর্ট। এতে মুক্তি মেলে স্যামসাং উত্তরাধিকারির।