বিবিসি এক প্রতিবেদনে বলছে, জনসাধারণকে এ কর্মসূচীর ব্যাপার উৎসাহিত করে তুলতে ‘অনুপ্রেরণাদাতাদের’ আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। লাভ আইল্যান্ড স্টারের মতো ইনস্টাগ্রাম অনুপ্রেরণাদাতাদেরকে কোভিড পরীক্ষা শনাক্তের সমর্থনে পোস্ট লেখার জন্য ‘অপ্রকাশিত পরিমাণ’ অর্থ দিয়েছে তারা।
সরকারি এক মুখপাত্র বলেছেন, “আমাদের সামাজিক মাধ্যম অনুপ্রেরণাদাতাদের ব্যবহারের অর্থ হচ্ছে, আমরা ৭০ লাখেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। দায়িত্বশীল সরকার হিসেবে মহামারীর সময়ে এনএইচএস পরীক্ষা ও শনাক্তের সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং জনসাধারণকে সতর্ক করতে যত উপায় আছে তার সব ব্যবহার করছি আমরা।”
“মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে টিভি, রেডিও, সামাজিক, প্রিন্ট এবং অন্যান্য বিজ্ঞাপনের এক বিশাল কর্মসূচীর অংশ মাত্র এটি।”
সরকারের স্বচ্ছ্বতা প্রতিবেদনে এ ক্যাম্পেইনের প্রতিটি খরচ তুলে ধরা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
লাভ আইল্যান্ড, সাংহুয়া ফিলিপস, ক্রিস হিউস এবং জশ ডেনজেল বিজ্ঞাপনের মতো করে ‘পেইড ইনস্টাগ্রাম পোস্ট’ তৈরি করেছেন এবং ‘গেট টেস্টেড’ ও ‘লেটস গেট ব্যাক’ এর মতো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছেন।
ফিলিপসের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসারী সংখ্যা ১৫ লাখ, হিউসের অ্যাকাউন্টে রয়েছেন ২১ লাখ অনুসারী, আর ডেনেজেলের অ্যাকাউন্টে রয়েছেন ১২ লাখ অনুসারী। প্রত্যেকেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার গুরুত্ব এবং স্বাভাবিকত্ব ফিরিয়ে আনতে এর ভূমিকার সমর্থনে নিজ নিজ মতামত প্রকাশ করেছেন।
সামাজিক বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ‘ক্যাপ্টিভে৮’ জানিয়েছে, দশ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে এমন ইনস্টাগ্রাম অনুপ্রেরণাদাতারা বিজ্ঞাপন দাতাদের জন্য বানানো প্রতি পোস্টে ২০ হাজার পাউন্ড করে আয় করতে পারেন।