টুইটারের গোপনতা রায় নিয়ে বিরোধে ইইউ নীতিনির্ধারকরা

গোপনতা বিষয়ে টুইটারের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে আয়ারল্যান্ডের প্রাথমিক রায়ে আপত্তি জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কিছু নীতিনির্ধারক। টুইটারের গ্রাহকের গোপনতা নিয়ে বেশিরভাগ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই তদন্তের ভিত্তিতে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2020, 03:59 PM
Updated : 20 August 2020, 03:59 PM

প্রথম বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আয়ারল্যান্ডের ডেটা প্রোটেকশন কমিশনের (ডিপিসি) জরিমানার মুখে পড়তে বসেছে টুইটার। কঠোর ‘ইইউ ডেটা সুরক্ষা আইনের’ আওতায় মে মাসেই অন্য সদস্যদেরকে কাছে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ডিপিসি।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের একটি ত্রুটি কারণে গ্রাহকের সুরক্ষিত কিছু টুইট উন্মুক্ত হয়ে যায়। এ বিষয়ে নীতনির্ধারকদেরকে টুইটার সময়মতো জানিয়েছে কি না, তা নিয়েই তদন্ত চলছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালের শেষে টুইটারের বিরুদ্ধে আরও ২০টি মামলা নিয়ে আসে ডিপিসি।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ইইউয়ের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) ‘ওয়ান স্টপ শপ’ আইন অনুযায়ী আইন ভাঙলে প্রতিষ্ঠানের বৈশ্বিক আয়ের চার শতাংশ বা দুই কোটি ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে নীতিনির্ধারকরা। এক্ষেত্রে জরিমানার যে অঙ্কটি বড় সেটিই প্রযোজ্য হবে।

বেশ কিছু মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ইউরোপিয়ান প্রাধান কার্যালয় রয়েছে আয়ারল্যান্ডে। ফলে ইউরোপে টুইটার, ফেইসবুক, অ্যাপল এবং গুগলের শীর্ষ নীতিনির্ধারক আয়ারল্যান্ড।

তবে, আইন অনুযায়ী ইইউ তদারকি কর্তৃপক্ষের (সিএসএএস) সঙ্গে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত শেয়ার করতে এবং চূড়ান্ত রায়ের ক্ষেত্রে অন্যান্যদের মতামত জানতে হবে সংস্থাটিকে।

বিবৃতিতে আয়ারল্যান্ড ডিপিসির ডেপুটি কমিশনার গ্রাহাম ডয়েল বলেন, “বেশ কিছু আপত্তির কথা জানিয়েছে সিএসএএস এবং ডিপিসি তাদের সঙ্গে একটি পরমর্শ প্রক্রিয়ায় ঢুকেছে।”

ডয়েল আরও বলেন আপত্তির কারণে এখন বিষয়টিকে ইউরোপিয়ান ডেটা প্রোটেকশন বোর্ডের (ইডিপিবি) নজরে নেওয়ার কথা বলেছে ডিপিসি।