রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, রোববার এ ব্যাপারে জানিয়েছে ফেডারেল কার্টেল অফিসের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়াস মুন্ডট। তিনি বলেছেন, “বণিকদেরকে অ্যামাজন মূল্য নির্ধারণে প্রভাবিত করে কি না, করলেও কীভাবে করে তা জানতে এখন তদন্ত করছি আমরা।”
যুক্তরাষ্ট্রের পর জার্মানি অ্যামাজনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে অনেক দোকান বন্ধ হয়ে গেছে, বিক্রেতারা ঠাঁই নিয়েছেন অনলাইনে। অ্যামাজনের মতো সাইটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চেষ্টা করছেন নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে।
তবে, উচ্চমূ্ল্য ধরার কারণে কয়েকজন বণিককে অ্যামাজন তাদের প্ল্যাটফর্মে ব্লক করেছে এমন অভিযোগ এসেছে। আন্দ্রেয়াস মুন্ডট বলেছেন, “অ্যামাজনের মূল্য নিয়ন্ত্রক হওয়া চলবে না।” এরই মধ্যে অ্যামাজন তার কার্যালয়ের আহবানে সাড়া দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্ডট। ওই বিবৃতিগুলো মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি কার্টেল অফিস। অ্যামাজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক নীতিমালা এমনভাবে তৈরি হয়েছে যাতে অংশীদারদের প্রতিযোগিতামূলক দাম নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
“অ্যামাজনের বিক্রেতা অংশীদাররা নিজেদের পণ্যের মূল্য নিজেরাই ঠিক করেন।” – বলেছেন মুখপাত্র। “উচ্চ মূল্যের দামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো করে তৈরি করে রাখা হয়েছে আমাদের সিস্টেম।” – যোগ করেছেন তিনি।
কয়েক বছর আগেও ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত বণিকদেরকে অন্য অনলাইন সাইটের মাধ্যমে নিজেদের বাজার মূল্যের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করার সুবিধা দিতো না অ্যামাজন। পরে জার্মানির অ্যান্টি-ট্রাস্ট তদারকদের তোপের মুখে ওই নীতি বদলেছিল তারা।
নিজেদের তৃতীয় পক্ষীয় বণিকদের সেবার শর্তাবলী ঢেলে সাজানোর ব্যাপারে গত বছর জার্মান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমোঝতায় আসে অ্যামাজন। চুক্তি অনুসারে, নিজেদের সাত মাসের তদন্ত সে বার বাদ দিয়েছিল জার্মানি।