অন্যান্য চীনা প্রতিষ্ঠানেও ‘নজর’ রয়েছে ট্রাম্পের

টিকটক নিষিদ্ধ ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আলিবাবার মতো অন্যান্য চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের উপরও চাপ প্রয়োগ করতে পারেন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2020, 11:00 AM
Updated : 16 August 2020, 11:00 AM

সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, আলিবাবার মতো অন্যান্য চীনা মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার ব্যাপারে তিনি ভাবছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা অন্যান্যগুলোতেও নজর রেখেছি, হ্যাঁ।”

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ জানিয়ে টিকটক ও ইউচ্যাট নিষিদ্ধ করতে এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। প্রতিষ্ঠানদুটির মার্কিন ব্যবসা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করতে ৪৫ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছে ওই আদেশে।

শুক্রবার টিকটক মালিককে উদ্দেশ্য করে আরেকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। এবারের নির্বাহী আদেশে বাইটড্যান্সকে ৯০ দিনের মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

গত বছরের বাণিজ্য সমঝোতা অনুসারে, সয়াবিন ও ভূট্টার মতো কৃষি পণ্য কেনার জন্য চীনের প্রশংসা করলেও, নিজ মেয়াদে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য যুদ্ধকে নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন ট্রাম্প। তার উইচ্যাট নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে খোদ মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোই।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের কাছে কলের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ডজনখানেকেরও বেশি মার্কিন প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে অ্যাপল, ফোর্ড মোটর কোম্পানি, ওয়ালমার্ট এবং ওয়াল্ট ডিজনির মতো প্রতিষ্ঠান ছিল। আরও ছিল প্রক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বল কোম্পানি, ইনটেল কর্পোরেশন, মেটলাইফ ইনকর্পোরেট, গোল্ডম্যান স্যাকস গ্রুপ, মর্গান স্ট্যানলি, ইউনাইটেড পার্সেল সার্ভিস ইনকর্পোরেট (ইউপিএস), মেরেক অ্যান্ড কো ইনকর্পোর্টে এবং কার্গিল ইনকর্পোরেট। 

প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাষ্য, উইচ্যাট অ্যাপের বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে মার্কিন প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়তে পারে।