বর্তমানে দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর একটি ভারত। এই বাজারে তাই নিজেদের দখল আরও খানিকটা বাড়াতেই শুক্রবার এই ফার্মেসি চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যামাজনের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শীঘ্রই শহর জুড়ে সরবরাহ শুরু করবে অ্যামাজন ফার্মেসি। কাউন্টার এবং প্রেসক্রিপশনভিত্তিক ওষুধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবার মৌলিক ডিভাইস এবং প্রথাগত ভারতীয় ভেষজ ওষুধ পাওয়া যাবে এই অনলাইন ফার্মেসিতে।
ভারতীয় বাজারে ওয়ালমার্ট মালিকানাধীন ফ্লিপকার্ট, ধনকুবের মুকেশ আম্বানির অনলাইন মুদি সেবা জিওমার্ট এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে বাড়তি প্রতিযোগিতার মুখেই এমন পদক্ষেপ নিলো অ্যামাজন।
গত মাসেই ভারতে ১০টি নতুন গুদাম খোলার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি যানবাহনের বীমা সেবা করেছে অ্যামাজন। এ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় সরবরাহ সেবার ছাড়পত্রও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনলাইনে ওষুধ বিক্রির বিষয়ে এখনও নীতিমালা চূড়ান্ত করেনি ভারত। তবে, দেশটিতে মেডলাইফ, নেটমেডস, টেমাসেক মালিকানাধীন ফার্মইজির মতো অনলাইন ফার্মেসির সংখ্যা বাড়তে থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে প্রথাগত ফার্মেসি।
এদিকে অ্যামাজনের এই ই-ফার্মেসি সেবাকে ভালো চোখে দেখেছেন না অনেকেই।
শুক্রবার নয়া দিল্লির সাউথ কেমিস্টস অ্যান্ড ডিসস্ট্রিবিউটরস অ্যাসোসিয়েশন প্রধান ইয়াশ আগারওয়াল বলেন, “অ্যামাজনের গ্রাহক সংখ্যা অনেক বেশি, তাই এটা নিশ্চিত যে আমরা ব্যবসা হারাবো। এই অফলাইন ব্যবসায় ৫০ লাখ পরিবার নির্ভরশীল।”
সংগঠনটি সরকারের সঙ্গে মিলে অ্যামাজনের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাবে বলেও জানিয়েছেন আগারওয়াল।