ক্রিপ্টোকারেন্সি জোগাড়ের চেষ্টা করছিল হামাস, আইএস, আল কায়েদা

জঙ্গী সংগঠন আল কায়েদা এবং ইসলামিক স্টেট চেষ্টা চালাচ্ছিল ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহের। একইরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছিল ফিলিস্তিনের ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলনের দল হামাস, যাকে পশ্চিমা বিশ্ব বিবেচনা করে আরেক জঙ্গী সংগঠন হিসেবে। সবগুলো প্রচেষ্টাই আটকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 August 2020, 09:46 AM
Updated : 14 August 2020, 09:46 AM

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে মার্কিন হাসপাতালের জন্য কোভিড-১৯ নিরাপত্তা সরঞ্জাম বিক্রিসহ বিভিন্ন পরিকল্পনায় তহবিল হাতানোর চেষ্টা করছিল সংগঠনগুলো।

এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

প্রা‌য় তিনশ' ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্ট, চারটি ওয়েবসাইট এবং চারটি ফেইসবুক পেইজ বাজেয়াপ্ত করার এই ঘটনাকে বৃহস্পতিবার মার্কিন বিচার বিভাগ বর্ণনা করেছে "জঙ্গী সংগঠনগুলোর ক্রিপ্টোকারেন্সি সংগ্রহ তৎপরতা বন্ধে সবচেয়ে বড় মার্কিন অভিযান" হিসেবে।

তহবিল জোগাড়ের এই প্রচেষ্টা বানচাল অভিযানে অন্তর্ভুক্ত ছিলো মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে), অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সেবা (আইআরএস), ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি।

মার্কিন বিচার বিভাগের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জন ডিমার্স বলেন, তদন্তের সময় ২০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তদন্তের শেষ ধাপে ৩০ দিনের জন্য হামাস ওয়েবসাইটের আদলে একটি ওয়েবসাইট চালিয়েছেন তারা।

তদন্তকারীরা বলছেন, ফেইসমাস্কসেন্টার ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট চালাচ্ছিল ইসলামিক স্টেট। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) অনুমোদিত পণ্য বলে হাসপাতাল, নার্সিং হোম এবং সম্মুখভাগের কর্মীদের কাছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করছিলো সংগঠনটি।

বিবৃতিতে মার্কিন বিচার বিভাগ দাবি করেছে, “এই পণ্যগুলো এফডিএ অনুমোদিত ছিলো না।”

তদন্তকারীরা আরও বলেন, পেইপাল, মার্কিন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের অর্থ জোগাড় করছিলো ওয়েবসাইটটি। তবে কখনোই কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি তারা।