প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ওয়্যারডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে টিকটকের অংশ অধিগ্রহণ সহজ বা সাধারণ হবে না বলে স্পষ্ট করেছেন গেটস।
“কে জানে এই চুক্তি নিয়ে কী হবে? তবে হ্যাঁ, এটি একটি বিষাক্ত পেয়ালা,” বলেন মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
প্রতিবেদনে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ বলছে, গেটস আরও উল্লেখ করেছেন যে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবসায় বড় খেলোয়াড় হওয়াটা “সহজ কোনো খেলা নয়”। কারণ কনটেন্ট পর্যালোচনায় নতুন পর্যায়ে যেতে হবে মাইক্রোসফটকে।
সামাজিক মাধ্যম খাতে আসছে মাইক্রোসফট, এই বিষয় নিয়ে সতর্ক কি না জানতে চাওয়া হয় গেটসের কাছে।
জবাবে গেটস বলেন, ফেইসবুকের আরও কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা থাকাটা “হয়তো ভালো কিছুই” কিন্তু “একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা শেষ করতে ট্রাম্পকে সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত উদ্ভট।”
টিকটকের এই চুক্তি কীভাবে সামনে এগোচ্ছে সে বিষয়ে অন্য সবার মতোই কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ মনে হয়েছে মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতাকে। বিশেষভাবে, যে কোনো অধিগ্রহণে মার্কিন ট্রেজারিকে কোনো এক ধরনের অংশ দিতে হবে, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পরই চুক্তি নিয়ে আরও বেশি বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
গেটস বলেন, “আমি মানছি, এই প্রক্রিয়ার ভিত্তি উদ্ভট। অংশ দেওয়ার বিষয়টি, দ্বিগুণ উদ্ভট। যাই হোক, মাইক্রোসফটকে এই সব কিছু নিয়েই কাজ করতে হবে।”
জটিল এই চুক্তির মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যম খাতে বড় পরিসরে নিজেদের তুলে ধরতে পারে মাইক্রোসফট। সেইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পড়ারও শঙ্কায় থাকছে প্রতিষ্ঠানটি।
টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রি করতে সময় বেঁধে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুক্তি না হলে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হবে টিকটক সেবা।