রয়টার্স এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মেশিনে প্রয়াত স্বজন বা ঐতিহাসিক মানুষের হলোগ্রাফ রেকর্ড করে রাখার প্রযুক্তি-ও যোগ করা যাবে। পোর্টল ইনকর্পোরেটের-এর বানানো পুরো ডিভাইসটি সাত ফুট উঁচু, পাঁচ ফুট চওড়া এবং দুই ফুট গভীর।
“আমাদের কথা হচ্ছে, আপনি ওখানে যেতে না পারলে, আপনি ওখানে নিজেকে বিম করতে পারেন।”- বলেছেন পোর্টল-এর প্রধান নির্বাহী ডেভিড নাসবাম।
“এভাবে আমরা সামরিক পরিবারকে যুক্ত করিয়ে দিতে পারি যারা মাসের পর মাস একজন আরেকজনকে দেখেনি বা যারা করোনাভাইরাস লড়াইয়ে দূরত্ব মেনে চলছেন তারা।” – যোগ করেছেন নাসবাম।
এ ধরনের মেশিনের দাম শুরু হচ্ছে ৬০ হাজার ডলার থেকে। তবে, নাসবাম প্রত্যাশা করছেন আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ খরচ কমে আসবে। টেবিলের উপর রাখা যাবে এবং স্বল্প দাম হবে এমন ছোট আকারের ডিভাইস আগামী বছর নাগাদ তৈরির পরিকল্পনাও করেছে প্রতিষ্ঠান।
ডিভাইসে চাইলে লস অ্যাঞ্জেলস ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘স্টেরি ফাইলে’র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন প্রযুক্তি জুড়ে নিয়ে হলোগ্রাম রেকর্ডও তৈরি করা যাবে। তবে, এতে খরচ বেড়ে দাঁড়াবে ৮৫ হাজার ডলারে।
স্টোরিফাইল প্রধান নির্বাহী হিদার স্মিথ জানিয়েছেন, রেকর্ড করে রাখা হলোগ্রামে আলাপচারিতার ছোঁয়া পাবে মানুষ। “আপনি তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে, শারীরিক বাচনভঙ্গি এবং অন্যান্য ভঙ্গিমা দেখতে পাবেন। মনে হবে আপনি যেন ওই মানুষটির সঙ্গে কথা বলছেন যদিও তিনি সেখানে নেই।”