কনট্যাক্ট-ট্রেসিং: অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি খতিয়ে দেখছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য

মার্কিন ২০টি অঙ্গরাজ্য এবং অঞ্চল অ্যাপল-গুগলের কনট্যাক্ট-ট্রেসিং প্রযুক্তি খতিয়ে দেখছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে গুগল, যেখানকার মোট জনসংখ্যা দেশটির প্রায় ৪৫ শতাংশ।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 August 2020, 09:48 AM
Updated : 1 August 2020, 09:48 AM

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর লক্ষ্যে অ্যাপলের সঙ্গে এই কনট্যাক্ট-ট্রেসিং প্রযুক্তি বানিয়েছে গুগল।

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরেও ১৬টি দেশ এবং অঞ্চলের স্বাস্থ্য কর্মীরা অ্যাপল এবং গুগলের টুল ব্যবহার করছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।

এর আগে অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি ব্যবহারকারী দেশের সংখ্যা ছিলো ১২টি। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ক্রোয়েশিয়া, ডেনমার্ক, জার্মানি, জিব্রাল্টার, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, জাপান, লাটভিয়া, নরদার্ন আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, সৌদি আরব, সুইজারল্যান্ড এবং উরুগুয়ে।

অ্যাপ ব্যবহারকারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির নিকট সংস্পর্শে এলে সতর্ক করে ব্লুটুথভিত্তিক এই কনট্যাক্ট-ট্রেসিং প্রযুক্তি।

এর আগে মে মাসে গুগল জানিয়েছে, আলাবামা, নর্থ ডেকোটা এবং সাউথ ক্যারোলাইনা এই তিনটি অঙ্গরাজ্য অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ উন্মুক্ত করবে। কিন্তু গত মাসেই অ্যাপটির উন্মোচন আটকে দিয়েছে সাউথ ক্যারোলাইনার জনপ্রতিনিধিরা।

এদিকে শীঘ্রই অ্যাপ উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নেবে আলাবামা কর্তৃপক্ষ। এখনও কোনা অ্যাপ উন্মোচন করেনি নর্থ ডেকোটা।

শুক্রবার গুগল জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে অ্যাপটি উন্মুক্ত করবে কর্তৃপক্ষ। এই অঙ্গরাজ্যগুলোর নাম প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠান।

সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি আরও বলছে, অ্যাপ ব্যবহারকারী দেশের সীমান্ত পেরোলেও এখন কাজ করবে তাদের প্রযুক্তি। দেশগুলো একে অপরের সঙ্গে কথা বলে এই ফিচারটি চালু করতে পারবে।

শুক্রবারই কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ উন্মুক্ত করেছে নরদার্ন আয়ারল্যান্ড। অন্যান্য দেশের গ্রাহকদেরকেও ট্রেস করতে পারবে এমন প্রথম অ্যাপ এটি।