জোটে আইবিএম ছাড়াও রয়েছে তোশিবা ইনকর্পোরেট এবং হিটাচি লিমিটেড। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, জোটের সদস্যরা আইবিএম-এর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত কোয়ান্টাম কম্পিউটারে ক্লাউডভিত্তিক প্রবেশাধিকার পাবে।
গবেষণার পাশাপাশি আগামী বছরের প্রথমার্ধেই জাপানে কোয়ান্টাম কম্পিউটার বসানোর পরিকল্পনা করেছে আইবিএম। সব ঠিক থাকলে ‘আইবিএম কিউ সিস্টেম ওয়ান’ নামের ওই ওই কোয়ান্টাম কম্পিউটারে প্রবেশাধিকার পাবে জোটের সদস্যরা।
জোটটির নাম রাখা হয়েছ “কোয়ান্টাম ইনোভেশন ইনিশিয়েটিভ কনসোর্টিয়াম”। ইউনিভার্সিটি অফ টোকিওভিত্তিক হবে এ কনসোর্টিয়ামটি, এবং টয়োটা মোটর কর্পোরেশনও এর অংশ হবে।
“আমরা একটি কোয়ান্টাম শিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।” - বলেছেন আইবিএম রিসার্চের পরিচালক ডারিও গিল। জাপানের কোয়ান্টাম দক্ষতার ভিত্তি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে জোটটি। আইবিএম ও ইউনিভার্সিটি অফ টোকিও-এর মধ্যে হওয়া গত বছরের এক চুক্তির ফলাফল হচ্ছে এ জোট।
“এটির জন্য এ ধরনের বড় মাপের প্রচেষ্টার প্রয়োজন পড়বে।” - যোগ করেছেন গিল।
“আমাদের কোয়ান্টামকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিযোগী এবং স্পর্শকাতর প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে এবং আমরা এটিকে সেভাবেই বিবেচনা করছি।”
কোয়ান্টাম প্রযুক্তি প্রশ্নে চীনের চেয়ে এগিয়ে থাকতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র ও এর বন্ধু রাষ্ট্রগুলো। কোয়ান্টাম প্রযুক্তির উন্নয়ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নের বিকাশ বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে।
গত সেপ্টেম্বরে জার্মানিতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার স্থাপনের ও দেশটির প্রায়োগিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জোট বাঁধার ঘোষণা দিয়েছিল আইবিএম।