রোববার বিবিসি’র সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কেলিন বলেন, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা যে অভিযোগ করেছে তার “কোনো অর্থ নেই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কেলিন বলেন, “আমি এই খবর একেবারেই বিশ্বাস করি না, এর কোনো অর্থ নেই। আমি তাদের (হ্যাকারদের) অস্তিত্বের বিষয়টি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমেই জানতে পেরেছি। এই বিশ্বে, যে কোনো ধরনের কম্পিউটার হ্যাকার, যে কোনো দেশের ছদ্মবেশ নিতে পারে, এটা সম্ভব।”
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে যে, এপিটি২৯ নামের হ্যাকিং দল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার অংশ। ক্ষতিকর সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রশাসনিক এবং ওষুধ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলা চালিয়ে কোভিড-১৯ টিকা বিষয়ে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করেছে দলটি। কোজি বেয়ার নামেও পরিচিত হ্যাকারদের এই দলটি।
কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেহাত হয়েছে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, চুরি করা সরকারি নথি অনলাইনে ছড়িয়ে গত বছর সাধারণ নির্বাচনেও হস্তক্ষেপ করেছে ‘রাশিয়ান কর্মীরা’।
সাক্ষাৎকারে কেলিন বলেন, যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কোনো আগ্রহ নেই আমার দেশের।
“এই বিষয়টিকে হস্তক্ষেপ হিসবে ব্যবহার করার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমরা একেবারেই হস্তক্ষেপ করি না। আমাদের জন্য কোনো হস্তক্ষেপ ঘটেছে এমন কোনো যুক্তি আমরা দেখি না, সেটা কনজারভেটিভ পার্টি বা লেবার পার্টি যে দলই হোক না কেনো। আমরা সম্পর্ক ঠিক করার এবং আরও ভালো সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করবো,” যোগ করেন রাষ্ট্রদূত।