স্পেসএক্স-এর প্রথম নভোচারী অভিযান সমাপ্তি অগাস্টে

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস) থেকে থেকে নভোচারী নিয়ে স্পেসএক্স-এর মহামাশযান আবার পৃথিবীর উদ্দেশ্যে ১ অগাস্ট যাত্রা করে পরের দিন পৃথিবীতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর মাধ্যমে শেষ হচ্ছে ইলন মাস্কের মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির প্রথম মানব নভোচারী অভিযান।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 July 2020, 04:18 PM
Updated : 19 July 2020, 04:18 PM

চলতি বছর মে মাসে প্রথমবারের মতো দুই নভোচারী নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (আইএসএস) পৌঁছেছে স্পেসএক্স-এর ক্রু ড্রাগন মহাকাশযান।

টুইট বার্তায় ঘোষণা দিয়ে নাসা প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, “আসল তারিখ নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর।”-- খবর আইএএনএস-এর।

২০১১ সালে নাসার মহাকাশ শাটল প্রকল্প বন্ধ করার পর মার্কিন ভূমি থেকে মহাকাশে যাননি আর কোনো নভোচারী। এরপর চলতি বছরের ৩০ মে স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে মানব নভোচারী অভিযানটিই ছিলো মার্কিন ভূমি থেকে মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর প্রথম অভিযান।

স্পেসএক্স-এর ক্ষেত্রেও এটি ছিলো প্রথম মানব নভোচারী অভিযান। ৩০ মে প্রতিষ্ঠানের ক্রু ড্রাগন ক্যাপসিউলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন নাসার দুই নভোচারী রবার্ট বেনকেন এবং ডগলাস হার্লি।

টুইট বার্তায় ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, “আমরা ১ অগাস্টে লক্ষ্যে এগোচ্ছি, যেদিন  স্পেসএক্স-এর ড্রাগন এনডেভার মহাকাশ কেন্দ্র থেকে অ্যাস্ট্রোবেনকেন এবং অ্যাস্ট্রোডগকে বাড়ি ফেরাবে, ঐতিহাসিক লঞ্চআমেরিকা অভিযানের পর। ২ অগাস্ট তারা ভূমিতে ফিরবেন বলে আমাদের লক্ষ্য। আসল তারিখ নির্ভর করবে আবহাওয়ার ওপর। সঙ্গে থাকুন।”

এই পুরো অভিযানকে বলা হচ্ছে নাসার স্পেসএক্স ডেমো-২। স্পেসএক্স-এর নভোচারী পরিবহন, উৎক্ষেপণ, কক্ষপথ, ডকিং এবং ল্যান্ডিং সব ব্যবস্থারই পরীক্ষা হবে এই এন্ড-টু-এন্ড ফ্লাইট অভিযানের মাধ্যমে।