‘অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (এবিএস)’-এর জন্য মি. এবিএস নামেই পরিচিতি পালাৎজেত্তি। এখন প্রায় সব মোটরযানেই রয়েছে তার বানানো এই ব্রেকিং ব্যবস্থা।
৮৪ বছর বয়সে বৈদ্যুতিক কেতলির আকারের নতুন একটি ডিভাইস বানিয়েছেন পালাৎজেত্তি। কথা বলার সময় মুখ থেকে যে ক্ষুদ্র জলকণা বের হয়, তা বায়ু তরঙ্গের মাধ্যমে আটকে দেয় নতুন এই কেতলি। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে ডিভাইসটির-- খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
পালাৎজেত্তি বলেন, “আমরা এটিকে বলছি বায়োস্টপার এবং অ্যারোডায়নামিক ফিল্ড তৈরিতে এটি ব্যবহার করেছি, যাতে কেউ কথা বলার সময় যে প্রশ্বাস বের হয় তা আবার ঐ ব্যক্তির কাছেই ফেরত যায়।”
দুই মাস আগে ডিভাইসটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন পালাৎজেত্তি। স্কুল, অফিস, বার এবং রেস্তোরাঁয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা কষ্টকর হবে, বিষয়টি বিবেচনা করেই ডিভাইসটি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন তিনি।
পণ্যটি আরও নিখুঁত বানাতে এবং পরীক্ষা করতে পলিতেকনিকো ডি ত্তোরিনোর (ইউনিভার্সিটি অফ তুরিন) একটি দলের সঙ্গে কাজ করছেন পালাৎজেত্তি।
রয়টার্সকে পলিতেকনিকো শক্তি বিভাগের অধ্যাপক মার্কো সিমোনেত্তি বলেন, “আমি আপনাকে কারিগরি বিষয়গুলোর খুব বিস্তারিত বলতে পারবো না, কারণ আমরা এখনও পেটেন্ট প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি।”
“ধারণাটি সাধারণ, এর লক্ষ্য ভাইরাসকে মারা নয়, নিরাপদে দূরত্ব কমানো (মানুষের মধ্যে),” যোগ করেন সিমোনেত্তি।
দুইজন ব্যক্তি যাতে একে অপরের কাছাকাছি আসতে পারেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সেভাবেই নকশা করা হয়েছিলো বায়োস্টপার। সিমোনেত্তি বলেন, এটি ছোট একটি দলের মধ্যেও কাজ করতে পারে।
জুলাই মাসের শেষ নাগাদ যন্ত্রটির প্রটোটাইপ বানাতে এবং গ্রীষ্মের শেষে এটি বাজারে আনতে আশাবাদী পলিতেকনিকোর দলটি।
“ধারণাগুলো আমার কাছে আসে, এমনটা না যে আমি নির্দিষ্ট কিছু ভাবছি। আমার আফসোস হয়। কারণ, আমার অনেক ধারণা আছে যেগুলো আলোর মুখ দেখতে চায়। কিন্তু এটি সত্যি কঠিন,” বলেন মি. এবিএস।