কোভিড-১৯ বিষয়ে এক সম্মেলনে গেটস বলেন, “যেখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে না দিয়ে, আমরা যদি ওষুধ এবং টিকা নিলামে সর্বোচ্চ দাম হাঁকানো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকেই দেই, তাহলে মহামারী আরও দীর্ঘস্থায়ী, অন্যায্য এবং ভয়াবহ হবে।”
গেটস আরও বলেন, “নিরপেক্ষতার ওপর ভিত্তি করে আমাদের নেতাদেরকে এই কঠিন সিদ্ধান্তগুলো নিতে হবে, বাজার বিবেচনা করে নয়,”-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, মানব দেহে সম্ভাব্য ২১টি টিকার ক্লিনিকাল পরীক্ষা হয়েছে। ‘টিকার রাষ্ট্রীয় প্রতিযোগিতার’ বিরুদ্ধে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা। সম্ভাব্য টিকা আগে পেতে একে অপরের সঙ্গে দেশগুলোর প্রতিযোগিতাকেই বলা হচ্ছে ‘টিকার রাষ্ট্রীয় প্রতিযোগিতা’।
এই প্রতিযোগিতার কারণে জনস্বাস্থ্য এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি দুই দিকেই মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোভিড-১৯ গবেষণায় মোট ২৫ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করার অঙ্গীকার করেছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। ওষুধ, চিকিৎসা এবং টিকা বানানোর কার্যক্রমে সহায়তা এবং ভাইরাসের সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব কাটাতে এই অর্থ ব্যয় করবে সংস্থাটি।
ফাউন্ডেশনের কাজে পুরো নজর দিতে ২০০০ সালেই মাইক্রোসফট প্রধানের পদ এবং ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠানের পূর্ণকালীন পদ ছেড়েছেন বিল গেটস।
বৈশ্বিক মহামারীর জন্য বিশ্ব প্রস্তুত নয় বলে ২০১৫ সালে এক ‘টেড টক’ বক্তৃতায় সতর্কও করেছেন গেটস।