কালার অফ চেইঞ্জ, যে গ্রুপটি অনলাইনে বর্ণভিত্তিক ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করে, দ্য লিডারশিপ কনফারেন্স অন সিভিল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস, দ্য এনএএসিপি লিগাল ডিফেন্স ফান্ড এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন স্যান্ডবার্গ, জাকারবার্গসহ ফেইসবুকের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জুন মাসে ফেইসবুকের বিরুদ্ধে #স্টপহেইটফরপ্রফিট প্রচারণা শুরু করেছে এই সংস্থাগুলো। এই প্রচারণার কারণে সম্প্রতি ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বয়কট করেছে চার শতাধিক প্রতিষ্ঠান।
কথপোকথনের পর এই আলোচনাকে স্পষ্টভাবে হতাশাময় দাবি করেছেন সংস্থাগুলোর চার নেতা-- খবর আইএএনএস-এর।
অ্যান্টি-ডিফেমেশন লিগ প্রধান জনাথন গ্রিনব্লাট বলেন, “আজকে আমরা দেখেছি খুব অল্প এবং শুনতে পাইনি কিছুই। বিদ্বেষ এবং ভুয়া তথ্যের পোস্টের ক্ষেত্রে সক্ষমতা আর গুরুত্ব প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে ফেইসবুক।”
এদিকে টুইট বার্তায় কালার অফ চেইঞ্জ প্রেসিডেন্ট রাশাদ রবিনসন বলেন, “আজ জাকারবার্গ এবং ফেইসবুকের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। এটা হতাশাজনক ছিলো। অনেক বছর ধরেই তাদের কাছে আমাদের চাহিদা ছিলো এবং তারপরও এটা স্পষ্ট যে, প্ল্যাটফর্মে বিধ্বংসী বিদ্বেষমূলক কনটেন্টগুলো বিবেচনায় আনতে তারা প্রস্তুত নয়।”
প্রতিবেদন বলছে, আলোচনায় “অত্যন্ত হতাশ” ফ্রি প্রেস সহকারী প্রধান জেসিকা জেই. গঞ্জালেস। আর এনএএসিপি প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান ডেরিক জনসন দাবি করেছেন “কাজের কাজ করার চেয়ে আলাপ আলোচনাতেই বেশি আগ্রহী ফেইসবুক।”
সম্প্রতি ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন বর্জন করেছেন কোকা-কোলা, অ্যাডিডাস, ওয়ালগ্রিনস এবং স্টারবাকস-এর মতো বেশ কিছু বড় ব্র্যান্ড।
মঙ্গলবার বিদ্বেষমূলক পোস্টের মূলোৎপাটনের অঙ্গীকার করেছেন স্যান্ডবার্গ। বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট খুঁজে বের করতে এবং সরাতে সামাজিক মাধ্যমটিকে আরও ভালো কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।