অর্ধেক ডেটা নেবে নতুন ভিডিও ফরম্যাট ‘এইচ.২৬৬’

তিন বছর পর নতুন ভিডিও-এনকোডিং প্রযুক্তির ঘোষণা এসেছে। এখন থেকে আরও উন্নত মানে ভিডিও দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা, ডেটা খরচও অর্ধেক কমে আসবে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2020, 09:37 AM
Updated : 8 July 2020, 09:37 AM

নতুন কোডেক এর নাম এইচ.২৬৬ (H.266)। এটি ভার্সাটাইল ভিডিও কোডিং বা ভিভিসি নামেও পরিচিত। নতুন কোডেকের ঘোষণা দিয়েছে জার্মানির ‘ফ্রউনহফার হাইনরিখ হার্টজ ইনস্টিটিউট’। -- খবর বিবিসি’র।

নতুন কোডেকের বদৌলতে একদিকে যেমন উন্নত মানের ভিডিও দেখতে পাবেন ব্যবহারকারীরা, অন্যদিকে বাফারিং আগের তুলনায় অনেক কম হবে। এর ফলে ‘অন ডিমান্ড’ সেবায় ৮কে কনটেন্ট আসার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

তবে, এক বিশেষজ্ঞ সতর্ক করেছেন, কোডেকটি সবার হাতে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে।  

‘ফ্রউনহফার হাইনরিখ হার্টজ ইনস্টিটিউট’ জানিয়েছে, কোডেকের উন্নয়নে অ্যাপল, মাইক্রোসফট, কোয়ালকম, এরিকসন, ইনটেল এবং হুয়াওয়ে কাজ করেছে।

প্রাথমিকভাবে আগের ভিডিওকে পুনরায় এনকোড করতে হবে। আর প্লেব্যাকের জন্য প্রয়োজন পড়বে দ্রুতগতির প্রসেসরের। নতুন কোডেকের কথা হিসেব করে তৈরি হয়নি বর্তমানের হার্ডওয়্যার, ফলে কিছুটা সময় লাগবে। বর্তমান আদর্শ মান এইচ.২৬৫-এর চেয়ে অর্ধেক বিটরেটে কাজ করবে এইচ.২৬৬।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “৯০ মিনিটের আল্ট্রা-হাই ডেফিনেশন (৪কে) ভিডিও’র ডেটা ট্রান্সমিট করতে  এইচ.২৬৫-এর যেখানে দশ গিগাবাইট ডেটার প্রয়োজন পড়ে, সেখানে নতুন প্রযুক্তিতে একই মানের ভিডিও’র জন্য লাগবে পাঁচ গিগাবাইট”।

এইচ.২৬৫ মানে ৮কে ভিডিও স্ট্রিম করতে প্রতি সেকেণ্ডে ৮৫ মেগাবিট ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন। কিন্তু এইচ.২৬৬ চলে এলেসেখানে ৪০-৫০ মেগাবিটের ইন্টারনেট সংযোগ হলেই স্ট্রিম করা যাবে ওই ভিডিও।

এ ছাড়াও  নতুন মানের কারণে ভিডিও সংরক্ষণে ‘স্টোরেজ সমস্যা’ কিছুটা হলেও কমবে। অন্যদিকে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি প্রযুক্তিতে এটি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখতে পারবে। অনেক হেডসেট হয়তো ভবিষ্যতে ৮কে রেজুলিউশনে কৃত্রিম বাস্তবতা দেখাতে পারবে।

তবে, কোডেক এলেও, বৈশ্বিকভাবে এই মান ছড়াতে অনেক সময় লাগবে। ইউটিউব ভিডিও’র জন্য গুগল এর আগে এইচ .২৬৫ কোডেকের পরিবর্তে নিজস্ব কোডেক ভিপি৯ বেছে নিয়েছিল। এ ছাড়াও অ্যাপল, অ্যামাজন, ফেইসবুক, গুগল ও স্যামসাংয়ের জোট সংস্থা এরই মধ্যে ‘এভি১’ নামে কোডেক তৈরি করেছে। ভিডিও গেইম স্ট্রিম প্ল্যাটফর্ম টুইচ আবার সে কোডেক ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

“কোডেকের গল্প সবসময়ই এক, সবাই আরও পর্যাপ্ত অবস্থায় উন্নত মানের ভিডিও চায়, কিন্তু মূল চ্যালেঞ্জ মানুষকে এটি ব্যবহার শুরু করানো”। -- বলেছেন সিসিএস ইনসাইট পরামর্শক সংস্থার বেন উড।

তিনি আরও বলেন, “সফল হতে সব প্রধান খেলোয়াড়ের কোডেককে বড় পরিসরে গ্রহণ করতে হয়। এবং যে কোনো একটি কোডেককে সমর্থন দেওয়ার  বিষয়টি অনেকটা ধর্মীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো”।