হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামমের মালিক প্রতিষ্ঠান ফেইসবুক এক বিবৃতিতে বলেছে, “রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইনের আরও মূল্যায়ন বাকি” থাকায় নিজেদের সব সেবার পর্যালোচনা “স্থগিত” রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে, গুগল এবং টুইটার জানিয়েছে, আইনটি গত সপ্তাহে কার্যকর হওয়া মাত্র হংকং কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ডেটা পর্যালোচনার কাজ স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইনটির প্রয়োগ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ও প্রকাশ করেছে টুইটার। -- খবর রয়টার্সের।
বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ের জন্য জন্য গত সপ্তাহে নতুন ওই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আইন পাশ করেছে চীনা পার্লামেন্ট। রয়টার্স মন্তব্য করেছে, আইনটির বদৌলতে রাতরাতি পরিবর্তন আসবে শহরটির বাসিন্দাদের জীবনযাত্রায়।
গুগল জানিয়েছে, সেবা থেকে ব্যবহারকারীর পোস্ট করা কনটেন্ট সরাতে সরকারি অনুরোধ এলে তা পর্যালোচনা করা হবে। টুইটার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আর ফেইসবুক মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অনেক সময় আঞ্চলিক আইন ভাঙার অভিযোগে অনেক পোস্টকে স্থানীয় মাত্রায় সীমিত করে রাখে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলো। ফেইসবুকের স্বচ্ছ্বতা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালের দ্বিতীয়ার্ধে হংকং অঞ্চলে ৩৯৪টি পোস্টকে এরকমভাবে সীমিত করে দেওয়া হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই হংকংয়ে স্বাধীনভাবে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। চীনা মূল ভূখণ্ডের ফায়ারওয়াল প্রভাব ফেলতে পারেনি শহরটির ইন্টারনেটে। ফলে ওখানে ব্লক হয়নি গুগল, টুইটার এবং ফেইসবুক।
সোমবার অ্যাপল জানিয়েছে, ব্যবহারকারীর কনটেন্টের ব্যাপারে সরাসরি হংকং সরকারের কাছ থেকে কখনও অনুরোধ আসে না। যুক্তরাষ্ট্র-হংকং আইনি সহায়তা চুক্তির অধীনে কর্তৃপক্ষের কাছ অনুরোধ পেয়ে থাকে অ্যাপল এবং পরে তা “আইন অনুসারে” পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যাপল এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা নতুন আইন মূল্যায়ন করছি, যা এক সপ্তাহ আগে কার্যকর হয়েছে, এবং আইন কার্যকর হওয়ার পরে আমরা কনটেন্ট বিষয়ে কোনো অনুরোধ পাইনি”।