জাপানে রাউড-শেয়ারিংয়ের ব্যাপারে কড়া আইনের ফলে বন্ধ রয়েছে রাইড শেয়ারিং সেবা। ফলে, চাইলেও জাপানে নিজস্ব রাইড শেয়ারিং গাড়ি বহর নামাতে পারছে না উবার। আর তাই, শুক্রবার টোকিওতে রাউড-শেয়ারিংয়ের বদলে রাইড-হেইলিং অ্যাপ নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। -- খবর রয়টার্সের।
রাইড হেইলিংয়ের সঙ্গে রাইড শেয়ারিংয়ের মূল পার্থক্য হলো রাইড হেইলিংয়ে একজন যাত্রী তার নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করেন, ওই গাড়ি পথিমধ্যে অন্য কোনো যাত্রী তুলবে না। অন্যদিকে রাইড শেয়ারিং হলো যখন একটি গাড়িতে এক বা একাধিক জায়গা থেকে একাধিক যাত্রী তোলেন এবং নামান। রাইড শেয়ারিংয়ে ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম হয়।
জাপানের ছোট বেশ কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা ওই অ্যাপের মাধ্যমে আগে থেকেই ট্যাক্সি ডাকতে পারছেন। এখন থেকে জাপানের রাজধানীতেও উবারের অ্যাপটির মাধ্যমে গ্রাহককে ট্যাক্সি সেবা দেবে দেশটির ট্যাক্সি সেবাদাতা হিনোমারু লিমুজিন, টোকিও এমকে কর্প এবং ইকোসিস্টেম।
বিশ্বের তৃতীয়-বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানে বাজার গড়ে তুলতে আগ্রহী উবার। এ কারণে দেশটিতে নিজেদের খাবার সরবরাহ সেবা উবার ইটস সম্প্রসারণেও মনোযোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
চীনের রাইড হেইলিং ও রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান দিদি চুশিং-ও রয়েছে জাপানে। দেশটিতে ‘দিদি মোবিলিটি’ নামে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রতিষ্ঠানটিও গ্রাহকদেরকে ট্যাক্সি ডাকার সেবা দিচ্ছে।