জুনের ২৮ তারিখ ভারত সরকারকে চিঠিটি পাঠান টিকটকের নতুন প্রধান নির্বাহী কেভিন মেয়ার। ওই চিঠিতে মেয়ার লিখেছেন, চীনা সরকার কখনও ব্যবহারকারী ডেটা পেতে অনুরোধ করেনি, এ ধরনের অনুরোধ করলেও তাদের প্রতিষ্ঠান কখনও তাতে সায় দেবে না। -- খবর রয়টার্সের।
টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বেইজিংভিত্তিক বাইটড্যান্স। তবে, চীনে টিকটক ব্যবহার করা যায় না এবং চীনের ব্যবহারকারীদের জন্য টিকটকের ভিন্ন একটি সংস্করণ রয়েছে।
“আমি নিশ্চিত করতে পারি চীন সরকার কখনও আমাদের কাছে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের টিকটক ডেটা পেতে অনুরোধ করেনি”। - লিখেছেন মেয়ার। তিনি আরও জানান, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের ডেটা সিঙ্গাপুরের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হয়।
পরে তিনি ওই চিঠিতে যোগ করেছেন, “আমরা যদি ভবিষ্যতে কথনও এ ধরনের অনুরোধ পাই, তাহলে তাতে সায় দেবো না”।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে ভারত সরকার ও টিকটক।
ভারত সরকারের এক সূত্র জানিয়েছেন, টিকটকের উপর নিষেধাজ্ঞা সহসাই উঠছে না। আইনজীবিরা জানিয়েছেন, ভারতে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগ দেখানোয় কোনো আইনি চ্যালেঞ্জও সফল হবে না।
ব্যবহারকারীর দিক থেকে হিসেব করলে ভারত টিকটকের সবচেয়ে বড় বাজার। অঞ্চলটিতে ব্যবসা সম্প্রসারণে একশ’ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়টিও চিঠিতে তুলে ধরেছেন মেয়ার। ওই অঞ্চলে যে প্রতিষ্ঠানটির তিন হাজার পাঁচশ’রও বেশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মী রয়েছে এবং ১৪টি ভাষায় কনটেন্ট পাওয়া যায় তা তুলে ধরেছেন তিনি।
“আমাদের ব্যবহারকারীদের গোপনতা, ভারতের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব, আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বের। আমরা এরই মধ্যে ভারতে ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছি”।