জর্জ ফ্লয়েড: ‘মাস্টার’, ‘স্লেভ’ ও ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ বাদ দিচ্ছে টুইটার

এবার ‘মাস্টার’, ‘স্লেভ’ ও ‘ব্ল্যাকলিস্ট’-এর মতো শব্দগুলো বাদ দিচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার। এর আগে একই কাজ করার কথা জানিয়েছিল গিটহাব। এ শব্দগুলো ‘প্রোগ্রামিং কোড’ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2020, 07:44 AM
Updated : 4 July 2020, 07:44 AM

বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দশকের পর দশক ধরে ব্যবহৃত এ ধরনের শব্দ বদলে ফেলা একদিকে যেমন সময়সাপেক্ষ, অন্যদিকে এতে খরচও অনেক বেশি, লাখ লাখ ডলার।

প্রোগ্রামিংয়ের ভাষায় ‘মাস্টার’ বলতে কোডের মূল সংস্করণকে বুঝায় যা ‘স্লেভ’ বা অনুলিপি সংস্করণকে নিয়ন্ত্রণ করে। আর ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ বলতে সাধারণত নিষিদ্ধ নামের তালিকাকে বোঝায়।

বৃহস্পতিবার এ ধরনের শব্দ থেকে সরে আসার ব্যাপারে জানিয়েছে টুইটারের প্রকৌশল বিভাগ। বাদের তালিকায় পড়া শব্দগুচ্ছও টুইটে জুড়ে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘মাস্টার/স্লেভ’ বদলে গিয়ে হবে ‘লিডার/ফলোয়ার’, আর হোয়াইটলিস্টকে করা হবে ‘অ্যালাওলিস্ট’। 

গত মাসে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে পুরোনো কোডিং শব্দ বাদ দেওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিল মার্কিন ব্যাংক জেপি মরগান। মাইক্রোসফটের গিটহাব-ও ‘মাস্টার’ শব্দটি বদলে দেওয়ার খবর জানিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি পাঁচ কোটি ডেভেলপার কোডিং প্রকল্প সংরক্ষণ এবং আপডেটে ব্যবহার করে।

গুগল ক্রোমিয়াম ওয়েব ব্রাউজার প্রকল্প এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ডেভেলপারদেরকে ‘ব্ল্যাকলিস্ট’ ও ‘হোয়াইটলিস্ট’ –এর মতো শব্দ ব্যবহার এড়াতে উৎসাহিত করেছে।

বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো নিজেদের পণ্যের লোগো বা নাম থেকে-ও বর্ণবাদী শব্দ সরাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমও রয়েছে চাপের মুখে। বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ঠোকাতে ফেইসবুক যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়, সে লক্ষ্যে চলছে বিজ্ঞাপন বয়কট ক্যাম্পেইন।

এরই মধ্যে ওই বিজ্ঞাপন বয়কট ক্যাম্পেইনে নাম লিখিয়েছে ফোর্ড, অ্যাডিডাস, কোকা-কোলা, ইউনিলিভার, স্টারবাকসের মতো প্রতিষ্ঠান।