স্টার্টআপ ইস্তাম্বুলের এক্সিলারেশন প্রোগ্রামের ফাইনাল পার করেছে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ডেটাফুল। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল ৫৪টি স্টার্টআপ, চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল নয়টি।
Published : 01 Jul 2020, 07:37 PM
স্টার্টআপ ইস্তাম্বুল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এপ্রিলে। কিন্তু করোনাভাইরাস বাস্তবতার মুখে বাধা পড়ে আয়োজন। পিছিয়ে যায় অক্টোবর পর্যন্ত। এরই মাঝে অনুষ্ঠিত হয় এক্সিলারেশন প্রোগ্রাম।
স্টার্টআপ ইস্তাম্বুলের এক্সিলারেশন প্রোগ্রামেও ডেটা বিষয়ক আইডিয়া নিয়েই নিজেদের পিচ সাজিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ডেটাফুলের প্রকল্প প্রধান পলাশ দত্ত বলেন, “ওপেন ডেটাকে একাধিক কাজে ব্যবহারযোগ্য করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে চাচ্ছি আমরা”।
“উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাংলাদেশের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ওপেন ডেটা। এই ডেটায় সবার প্রবেশাধিকার রয়েছে। কিন্তু গত ২০ বছরের ফলাফলকে একত্রে কাজের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মে গুছানো অবস্থায় পাওয়া যায় না। আমাদের দেশের ডেটা ওপেন হলেও এ সমস্যা রয়েছে। আমরা এরই মধ্যে এরকম সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করেছি”। - যোগ করেছেন পলাশ।
উল্লেখ্য, এক দশক ধরে চলে আসা এই আয়োজনে এবার ১৬৬টি দেশ থেকে আবেদন জমা পড়েছিল এক লাখ ৬০ হাজার ৯১৬টি।
আবেদন থেকে শীর্ষ ১০০টি স্টার্টআপ বাছাই করা হয়। এই একশ’টি থেকে ৫৪টি স্টার্টআপ নিয়ে জুনে শুরু হয় এক্সিলারেশন প্রোগ্রাম। এতে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশের স্টার্টআপ ডেটাফুল। মূলত ডেটাবেজ, ইনফোগ্রাফ, ড্যাশবোর্ড নিয়ে কাজ করে স্টার্টআপটি। পাশাপাশি দিয়ে থাকে ডেটা সাংবাদিকতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ।
স্টার্টআপ ইস্তাম্বুলের এক্সিলারেশন প্রোগ্রামের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩০ জুন। এখন ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।