সম্প্রতি সব পর্যায়ে রাষ্ট্র সমর্থিত সাইবার হামলার মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ান সরকার। এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এবং জটিল কাঠামো পরিচালক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই হামলার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো দেশটি-- খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
হামলার পেছনে কোন দেশের হাত রয়েছে সে বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অস্ট্রেলিয়া। তবে, বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সকে সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তিন সূত্র জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস এর পেছনে চীনের হস্তক্ষেপ রয়েছে। এমন অভিযোগ অবশ্য শোনামাত্র অস্বীকার করেছে বেইজিং।
বিবৃতিতে মরিসন বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ প্রাধান্য জাতীয় অর্থনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা দেওয়া। ক্ষতিকর সাইবার কার্যক্রম এটি দূর্বল করছে।”
বিনিয়োগ পরিকল্পনায় ৪৭ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারে ‘অস্ট্রেলিয়ান সিগনালস ডিরেক্টরেট’-এ বাড়তি পাঁচশ সাইবার বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেবে দেশটি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা রেইনল্ডস বলেন, সাইবার যুদ্ধে নিজেদের স্বক্ষমতা বাড়ানোয় দেড় হাজার কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার বিনিয়োগ পরিকল্পনারই অংশ এটি। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট এবং সবচেয়ে বড় তিনটি রাজনৈতিক দলের ওপর সাইবার হামলার ঘটনার পর এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি।
নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এই সাইবার হামলার পেছনে কোন দেশের হাত ছিল সেটিও স্পষ্ট করে বলেনি অস্ট্রেলিয়া। তবে, গত বছর এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, দেশটির সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত হয়েছে যে হামলায় চীনের সংশ্লিষ্টতা ছিলো।
ওই হামলার অভিযোগও অস্বীকার করেছে চীন।