টুইচ বলছে, চ্যানেলটির মাধ্যমে ট্রাম্পের টালসা র্যালির ভিডিও এবং পুরোনো একটি ক্যাম্পেইন ভিডিও পুনঃসম্প্রচারিত হচ্ছিল।
আর রেডিট জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের নিয়ম ভেঙেছে ট্রাম্পের সাবরেডিট। রেডিট সাইটে বিভিন্ন বিষয়ের যে আলোচনাসূত্র সেগুলোকে বলে সাবরেডিট। প্রতিটি সাবরেডিড একএকটি বিষয়ে সবার মন্তব্যের সংকলন হিসেবে কাজ করে।
রেডিট প্রধান নির্বাহী স্টিভ হাফম্যান এক পোস্টে জানিয়েছেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারকারী ব্যবহারকারী ও কমিউনিটি নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে।
টুইচের “বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড এবং হয়রানি নীতিমালা” ভেঙেছে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। এক ভিডিওতে মেক্সিকান অভিবাসীদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন মার্কির প্রেসিডেন্ট। এর পরপরই ওই অ্যাকাউন্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত কার্যকর করে প্ল্যাটফর্মটি। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের।
টুইচ বলছে, “টুইচে বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের কোনো জায়গা নেই। স্ট্রিমে কিছু মন্তব্য করার জন্য আমাদের নীতিমালা মেনে টুইচ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে”।
ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটিতে অ্যাকাউন্ট খোলার সময়েই টুইচ জানিয়েছিল, রাজনীতিবিদদের আলাদা করে দেখা হবে না। “অন্যান্যদের মতো রাজনীতিবিদদেরও টুইচের সেবা ও কমিউনিটি শর্তাবলী মেনে চলতে হবে। রাজনীতিবিদ বা সংবাদ উপযোগী কনটেন্টও এর ব্যতিক্রম নয়, নিয়ম ভাঙলে কনটেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব আমরা”।
শুধু টুইচ নয়, এক্ই দিনে ইন্টারনেটের প্রথম পাতা খ্যাত সামাজিক মাধ্যম রেডিট-ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাবরেডিট মুছে দিয়েছে।
অ্যামাজন মালিকানাধীন টুইচ ইন্টারঅ্যাকটিভ পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে। ২০১১ সালের জুনে যাত্রা শুরু করেছিল প্ল্যাটফর্মটি।