সর্বশেষ ৫০ বছর আগে চাঁদে অভিযান চালিয়েছে নাসা। ২০২৪ সালে নতুন করে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে সংস্থাটি।
‘আর্টেমিস’ প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁদে প্রথম নারী এবং পরবর্তী পুরুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। এই অভিযানের জন্যই বাণিজ্যিক অংশীদার হিরোক্স-এর সঙ্গে শৌচাগার বানানোর ‘লুনার লু চ্যালেঞ্জ’ শুরু করেছে সংস্থাটি।
নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে প্রতিযোগিতার বিস্তারিত।
হিরোক্স বলছে, “চাঁদের জন্য শৌচাগারের নকশার ধারণাটি এমন হতে হবে-- নভোচারীরা যেন ক্ষুদ্র মাইক্রোগ্র্যাভিটি এবং লুনার গ্র্যাভিটি উভয় পরিবেশে মূত্র ও মল ত্যাগ করতে পারেন।”
“মাইক্রোগ্র্যাভিটিকে সাধারণত শুন্য অভিকর্ষজ ত্বরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে ভর অনুভব করা যায় না। চাঁদের অভিকর্ষজ ত্বরণ পৃথিবীর অভিকর্ষজ ত্বরণের ছয় ভাগের এক ভাগ, তাই মল এবং মূত্র নিচেই পড়বে।”
হিরোক্স আরও জানিয়েছে, দুইজন নভোচারী শৌচাগারটি দুই সপ্তাহ ব্যবহার করবেন।
মল এবং মূত্রের পাশাপাশি বমি ধারণক্ষমতাও থাকতে হবে চাঁদের জন্য নকশা করা শৌচাগারে।
হিরোক্স বলছে, “বমি ধরার জন্য সাধারণত থলে ব্যবহার করা হবে, তবে কোনো দল যদি এমন সমাধান নিয়ে আসতে পারে, যেখানে নভোচারীদেরকে বমি করার সময় তাদের মাথা টয়লেটের মধ্যে দিতে হবে না, ওই দলটি বোনাস পয়েন্ট পাবে।”
পুরস্কারের ৩৫ হাজার ডলার বিজয়ী তিন দলের মধ্যে ভাগ করে দেবে নাসা। প্রথম বিজয়ী ২০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় বিজয়ী ১০ হাজার এবং তৃতীয় বিজয়ী পাঁচ হাজার ডলার পাবেন।