জরিপ: মহামারী চলে গেলেও 'বাসা থেকে কাজ' যাবে না

করোনাভাইরাস মহামারী বদলে দিয়েছে বিশ্বের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। বদলেছে অনেক পেশাজীবীর কাজের ধরন। কোভিড-১৯ মহামারীর পরেও অন্তত অর্ধেক ‘ডিজিটাল কর্মী’ রাখতে আগ্রহী ৭০ শতাংশের বেশি প্রতিষ্ঠান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2020, 01:16 PM
Updated : 22 June 2020, 01:18 PM

ইতোমধ্যে ডিজিটাল কর্মীবল বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। রোবোটিক প্রসেস অটোমেশনে (আরপিএ) শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠান অটোমেশন এনিহয়ারের জরিপেও পাওয়া গেছে একই ইঙ্গিত। -- খবর আইএএনএস-এর।

নতুন স্বাভাবিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কর্মীদের কাজের পরিবেশ বদলেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ঘরে বসেই কাজ করছেন বহু কর্মী। জরিপে এদেরকেই 'ডিজিটাল কর্মী' আখ্যা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

জরিপে আরও উঠেছে, কোভিড-১৯ মহামারীর পর ৮০ শতাংশের বেশি ডিজিটাল কর্মী রাখতে আগ্রহী প্রতি চারটির মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান।

অটোমেশন এনিহয়্যারের আইএমইএ’র নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মিলান শেঠ বলেন, “মহামারী আমাদের ডিজিটাইজেশনে নতুন আলোড়ন এনেছে, আমরা জানি এটি আমাদের জীবনযাপনে নতুন বিপ্লব আনবে। প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহক, কর্মী, সরবরাহকারী এবং অন্যান্য শেয়ারধারীদের সঙ্গে যোগাযোগের ধরন বদলাচ্ছে এবং বর্তমান অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে কার্যকরিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে উদ্ভাবনী ডিজিটাল মডেল গড়ে তুলবে।”

ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকা ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার মতো উন্নয়নশীল বাজারে ২০টি দেশের মাঝারি ও বড় সংস্থাগুলোর পাঁচ হাজারের বেশি জেষ্ঠ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে অটোমেশন এনিহয়ার।

জরিপে দেখা গেছে, ভবিষ্যতের ব্যবসা পরিকল্পনায় স্বাভাবিকতা আনতে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে ৮০ শতাংশের বেশি অংশগ্রহণকারীর।

কোভিড-১৯ মহামারীর পর আরপিএ এবং এআই খাতে দক্ষতা বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ৫৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। আর বিশ্লেষণা খাতে ২৮ শতাংশ এবং মেশিন লার্নিংয়ে ১৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী পুনরায় দক্ষ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

ব্যাংকিং, আর্থিক সেবা, বীমা, ওষুধ এবং স্বাস্থ্যসেবার মতো খাতগুলোতে ডিজিটাল কর্মীবল বাড়ানোর এই রীতি দেখা যাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে আইএএনএস।