বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ: গুগল ম্যাপে যুক্ত হল লক্ষাধিক লোকেশন

কোভিড-১৯ মহামারীকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ডিজিটাল ম্যাপিং এর লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইনে তরুণদের অংশগ্রহণে এক লাখ ১০ হাজার লোকেশন গুগল ম্যাপ ও ওপেন স্ট্রিট ম্যাপে যুক্ত করা হয়েছে।

রোববার ক্যাম্পেইনে সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই এবং গুগলের সমন্বয়ে অপারেটর গ্রামীণফোনের উদ্যোগে এই ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনলাইনে অনুষ্ঠত হয়।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “বর্তমান সংকটকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিটি দেশের ভৌগলিক ম্যাপিং হালনাগাদ করা খুবই জরুরি। কারণ হাসপাতাল, স্থানীয় পণ্যের বাজার, রিচার্জ পয়েন্ট, নগদ বা বিকাশ পয়েন্ট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ম্যাপে পয়েন্ট করা জরুরি।

“ঢাকার বাইরে যারা জরুরি সেবা প্রদানের সাথে জড়িত তাদের জন্য এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আগে শহর অঞ্চলের বাইরের এলাকাগুলো গুগল ম্যাপে পয়েন্ট করা ছিল না বলে নাগরিকদের বিভিন্ন স্থান শনাক্ত করতে সমস্যা হচ্ছিল। ডিজিটাল ম্যাপ হালনাগাদ করার কারণে এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে।”   

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ কার্যক্রমে প্রায় ৩১ হাজার নিবন্ধনের মাধ্যমে এক লাখ ১০ হাজার ম্যাপ পোস্ট পাওয়া গেছে। অন্যদিকে ফেইসবুকে ৮ দশমিক ৫ মিলিয়নের বেশি রিচ এবং ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়নের বেশি ইমপ্রেশন পাওয়া গেছে। তরুণরা বাড়িতে অবস্থান করিই এই পুরো ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।

ম্যাপিং কার্যক্রমে অবদান রাখা শীর্ষ ১০০ জন তরুণকে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে দুই মাসের জন্য ১০ জিবি (৫ জিবি ৩০ দিন + ৫ জিবি ৩০ দিন) ইন্টারনেট দেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে শীর্ষ ২০০ জন ম্যাপার এটুআই-এর ‘একশপ’ প্ল্যাটফর্মের সাথে কাজ করার সুযোগ পাবেন। সেই সাথে ৩১ হাজার রেজিস্টার্ড ম্যাপারকে ই-সার্টিফিকেট দেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “এরকম সংকটকালীন মুহূর্তে জরুরি সেবা পৌঁছে দিতে এবং প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এরকম ভৌগলিক ম্যাপিং খুবই জরুরি। এই ম্যাপিং কার্যক্রমে আমাদের পাশে থাকার জন্য আমরা আমাদের সকল সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এমন সুন্দর একটি উদ্যোগকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।”

এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, “ইতোমধ্যে ৫ হাজার হাসপাতাল, ১৬ হাজার ফার্মেসি এবং ২০ হাজার  মুদি দোকান সন্নিবেশিত করার পাশাপাশি ৮৭০টি রাস্তা ম্যাপে যুক্ত হয়েছে। ই-কমার্স ডেলিভারি সুবিধা তৈরির সাথে সাথে অসংখ্য নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এই ম্যাপিং কাজে লাগবে এবং দীর্ঘমেয়াদে জাতিকে নানাভাবে সহযোগিতা করবে।”

গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশনস খায়রুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনলাইনে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গুগলের গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড পাবলিক পলিসি লিড নিক বাওয়ের, প্রিনিয়র ল্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ নেজামি প্রমুখ।