ব্যবহারকারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কারও নিকট সংস্পর্শে এসেছেন কি না, তা শনাক্ত করবে ব্লুটুথ প্রযুক্তির এই অ্যাপটি।
অ্যাপ স্টোরে ‘কোভিড-১৯ কনট্যাক্ট অ্যাপ’ নাম দেওয়া হলেও অ্যাপটিকে কোকোয়া/সিওসিওএ বলছে জাপান। সংক্ষিপ্ত এই নামের পূর্ণরূপ, কোভিড-১৯ কনট্যাক্ট-কনফারমেশন অ্যাপ্লিকেশন।
এর আগে জাপানে কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ নিয়ে কাজ করছিলো টোকিও-ভিত্তিক একটি দল। কিন্তু গুগল এবং অ্যাপলের শর্তের কারণে পরবর্তীতে ওই প্রকল্প বাদ পড়ে যায়। মে মাসে মাইক্রোসফটের প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিয়ে নতুন অ্যাপটি বানিয়েছে জাপান-- খবর প্রযুক্তি সাইট ভার্জের।
জাপান সরকার বলছে, অ্যাপল এবং গুগলের প্রযুক্তির শর্ত অনুযায়ী লোকেশন ডেটা বা ফোন নাম্বারের মতো ব্যক্তিগত তথ্য মজুদ করে না কোকোয়া।
ব্যবহারকারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির এক মিটারের মধ্যে ১৫ মিনিটের বেশি সময় থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির ফোনের ডেটা এনক্রিপশনের মাধ্যমে মজুদ করে এই অ্যাপ। যখন কোনো ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে অ্যাপে ইনপুট দেবেন, তখনই অন্যদেরকে নোটিফিকেশন দিয়ে সতর্ক করবে অ্যাপটি।
ইতোমধ্যেই কনট্যাক্ট-ট্রেসিং অ্যাপ উন্মোচন করেছে বেশ কিছু দেশ। অ্যাপে অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে মতবিরোধও দেখা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, ইতালির মতো কয়েকটি দেশ প্রথমে নিজস্ব ব্যবস্থার ওপর আস্থা রাখলেও পরে নির্ভরশীল হয়েছে অ্যাপল-গুগলের প্রযুক্তিতেই।