পুলিশি নিপীড়নের বিরুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ চলার পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন সংস্থাকে ফেইশল রিকগনিশন টুল ব্যবহার করতে দেবে অ্যামাজন। -- খবর প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেটের।
যেসব সংস্থাকে ফেইশল রিকগনিশন টুল ব্যবহার করতে দেবে অ্যামাজন, সেসব সংস্থার মধ্যে রয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়েটেড চিলড্রেন’। মানব পাচারের শিকার শিশুদের খোঁজার কাজ করে থাকে সংস্থাটি।
“আমরা বলে আসছি, সরকারের আরও কঠোর নীতিমালা প্রয়োগ করা উচিত ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির ন্যায্য ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য, এবং সাম্প্রতিক সময়ে, কংগ্রেসকে দেখে মনে হয়েছে তারা এ চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।” – এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
“আমরা আশা করছি, এই এক বছরের স্থগিতাদেশ কংগ্রেসকে যথেষ্ট সময় দেবে যথাযথ নিয়ম প্রয়োগের জন্য, এবং আমরা এ বিষয়ে কোনো অনুরোধ পেলে সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত”। - বিবৃতিতে বলেছে অ্যামাজন।
‘ফেইশল রিকগনিশন’ বাজার থেকে আইবিএম-এর বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরে, নিজেদের সাময়িক এই নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে জানালো অ্যামাজন।
পুলিশি কাজে অ্যামাজনের ‘রিকগনিশন টুল’ ব্যবহার নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। পুরোপুরি নির্ভুল ফলাফল দেখাতে পারে না প্রযুক্তিটি এবং দোকানে থেকে চুরির মতো ছোটখাট অপরাধ শনাক্তে এটি ব্যবহার হয়। অ্যামাজনের কর্মীরাই এর আগে প্রযুক্তিটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবহারের জন্য দেওয়ার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ করেছে।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক ন্যায্যতা ও কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির জন্য এক কোটি ডলারের তহবিল অনুদান দিয়েছে অ্যামাজন।
গত বছরের জানুযারিতে অ্যামাজনের ফেইশল রিকগনিশন প্রযুক্তির নির্ভুলতা ত্রুটি নিয়ে কথা উঠেছিল। গবেষকরা উল্লেখ করেছিলেন, প্রযুক্তিটি লিঙ্গ এবং বর্ণ বিষয়ে পক্ষপাতে দুষ্ট। বুধবারের ঘোষণায় অ্যামাজন অবশ্য সে বিষয়গুলো নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
এ বিষয়ে গবেষকদের একজন ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোর শিক্ষার্থী ডেবোরাহ রাজি বলেছেন, “আলোচনার মোড় ঘুরে গেছে। আমরা এ ধরনের প্রযুক্তির জন্য কিছু নিয়ম দেখতে পাবো বলে আশা করছি”।
নিজেদের ব্লগ পোস্টের বাইরে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি অ্যামাজন।