জর্জ ফ্লয়েড: প্রতিবাদে বোর্ড ছাড়লেন রেডিট সহ-প্রতিষ্ঠাতা

রেডিট সহ-প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্সিস ওহ্যানিয়ান সরে দাঁড়িয়েছেন রেডিট বোর্ড থেকে, আহবান জানিয়েছেন তার স্থানটি কোনো কৃষ্ণাঙ্গ বোর্ড সদস্যের মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে। 

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2020, 09:36 AM
Updated : 6 June 2020, 09:48 AM

মে মাসের ২৫ তারিখ যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের নিপীড়নে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েড। ওই ঘটনার পর থেকেই বর্ণবৈষম্য ও বর্ণবাদের প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুঁসছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজ নিজ স্থান থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মানুষ।

ওহ্যানিয়ানের কৃষ্ণাঙ্গ সন্তান যদি তাকে জিজ্ঞাসা করে, তিনি কী করেছেন তাহলে তিনি যেন 'বাবা হিসেবে উত্তর দিতে' পারেন – সেজন্যই কাজটি করেছেন বলে ধারাবাহিক বেশ কয়েকটি টুইটে জানিয়েছেন ওহ্যানিয়ান।  

স্ত্রী ও টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামসের সঙ্গে ওহ্যানিয়ানের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে এই দম্পতির কন্যা অলিম্পিয়া’র বয়স তিন বছর হবে।

পদ ছাড়ার পাশাপাশি নিজ রেডিট স্টকের ভবিষ্যত আয় “কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটির সেবায়” খরচের ঘোষণাও দিয়েছেন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা অ্যালেক্সিস ওহ্যানিয়ান। সাবেক এনএফএল কোয়ার্টারব্যাক কলিন কেপার্নিক-এর প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক সংস্থা ‘নো ইওর রাইটস ক্যাম্প’ –এ দশ লাখ ডলার অনুদানে দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

“আমি মনে করি, ক্ষমতাসীনদের জন্য পদত্যাগ এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো একটি পদক্ষেপ হতে পারে। যারা আমাদের এই ভাঙা দেশকে ঠিক করার জন্য লড়াই করছেন, তাদেরকে বলছি: থামবেন না”।

কলেজ রুমমেট অ্যারন সোয়ার্টজ ও স্টিভ হাফম্যানের সঙ্গে মিলে ১৫ বছর আগে সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইট রেডিট প্রতিষ্ঠা করেন ওহ্যানিয়ান। ২০১৮ সালেই দৈনন্দিন প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। তবে, প্রতিষ্ঠানের বোর্ডে পদ ছিল একটি, পাশাপাশি তিনি ছিলেন এর নির্বাহী চেয়ারম্যান।

গত বছরই নিজেদের বোর্ডে প্রথম নারী সদস্য হিসেবে পোর্টার গেইল-কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে রেডিট।

বর্ণবাদী কনটেন্ট প্রচার করে এমন ফোরাম হোস্ট করার কারণে সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছিল ওয়েবসাইটটি। এরই মধ্যে ‘/ব্ল্যাকপিপলহেইট’ এবং চরম দক্ষিণপন্থী /মিলিয়নডলারএক্সট্রিম’ সাবরেডিট নিজেদের সাইটে নিষিদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে গঠিত ফোরাম /দ্যডনাল্ড –এর কনটেন্ট যাতে ওয়েবসাইট সার্চ বা রেকমেন্ডশেনের এসে হাজির না হয়, সে ব্যবস্থাও নিয়েছে রেডিট।    

গত সপ্তাহে বেশ কিছু রেডিট ফোরাম প্রবেশাধিকারকে ‘প্রাইভেট’ করে দিয়েছে বা নতুন পোস্ট নিষিদ্ধ করা শুরু করেছে। পুরো কাজটিই প্রতিষ্ঠানের ‘হেইট স্পিচ’ নীতিমালার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে। এক টুইটে অবশ্য রেডিটের সাবেক প্রধান নির্বাহী এলেন কে পাও বর্ণবাদ বিষয়ে রেডিটের অবস্থানকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, “রেডিট যখন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব এবং ঘৃণা লালান-পালন করে এবং সেগুলোকে একচেটিয়াভাবে চালায় তখন আসলে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারে’র মতো কথা আপনি বলতে পারেন না।