ফেইসবুকে “বিপজ্জনক নজির” তৈরি করছেন জাকারবার্গ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি পোস্ট ফেইসবুকে থাকার অনুমোদন দিয়ে “বিপজ্জনক নজির” তৈরি করছেন মার্ক জাকারবার্গ – সতর্কবার্তা জানিয়েছেন নাগরিক অধিকার কর্মীদের একটি দল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 June 2020, 07:05 PM
Updated : 2 June 2020, 07:05 PM

ফেইসবুক সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জাকারবার্গের সঙ্গে এক ভিডিও বৈঠক শেষে বিবৃতিটি দিয়েছেন তারা। -- খবর বিবিসি’র।

মার্কিন পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর প্রতিবাদে জ্বলে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান ওই প্রতিবাদ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের করা পোস্টটি টুইটারেও রয়েছে। কিন্তু তা এরই মধ্যে ‘আড়াল’ করে দিয়েছে টুইটার। কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, টুইটটির মাধ্যমে ‘সহিংসতাকে মহিমান্বিত’ করা হচ্ছে।

প্রশ্নবিদ্ধ ওই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন “ন্যাশনাল গার্ড পাঠানো হবে” এবং সতর্ক করেন “যখন লুট শুরু হবে, তখন গুলি শুরু হবে”।

টুইটার পোস্টটির ব্যাপারে পদক্ষেপ নিলেও জাকারবার্গ পোস্টটিকে ফেইসবুকে বহাল তবিয়তে রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, মানুষের “উচিত এটি নিজেদের বিবেচনা করা”।

ফেইসবুক কর্মীরা এরই মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাকারবার্গের বিরুদ্ধে, অনেকে পালন করেছেন “ভার্চুয়াল ওয়াকআউট”।

জাকারবার্গের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিন নাগরিক অধিকার নেতা মন্তব্য করেন জাকারবার্গ ভুল করছেন।

“ট্রাম্পের পোস্ট রাখার পক্ষে মার্ক যে ধারণাতীত ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নিয়ে আমরা হতাশ এবং বিস্মিত”।

“ফেইসবুকে একই ধরনের ক্ষতিকর ব্যাপার বলতে পারে এমন ব্যক্তিদের জন্য মার্ক খুব বিপজ্জনক নজির তৈরি করছেন।”         

যৌথ বিবৃতিটি সোমবার রাতে প্রকাশ করেছেন তারা। এতে স্বাক্ষর করেছেন ‘লিডারশিপ কনফারেন্স অন সিভিল অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’-এর প্রেসিডেন্ট ভানিতা গুপ্তা, এনএএসিপি লিগ্যাল ডিফেন্স অ্যান্ড এডুকেশনাল ফান্ডের পরিচালক-পরামর্শক শেরিলিন আইফল, কালার অফ চেঞ্জ প্রেসিডেন্ট রাশাদ রবিনসন। বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে অ্যাক্সিওস। 

ট্রাম্পের পোস্ট ফেইসবুকে রাখার কারণে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে অংশীদারি চুক্তি আলোচনা থেকে পিছিয়ে এসেছে অনলাইন থেরাপি সংস্থা টকস্পেস। “আমরা এমন কোনো প্ল্যাটফর্মকে সমর্থন দেব না যেটি সহিংসতা, বর্ণবৈষম্য এবং মিথ্যাকে উৎসাহিত করে”। - বলেছেন প্রধান নির্বাহী ওরেন ফ্র্যাংক।

চুক্তিটি “লাখ লাখ ডলার” মূল্যমানের হতো বলে সিএনবিসি-কে জানিয়েছেন ফ্র্যাংক।

ফাঁস হওয়া এক অডিও’র বরাত দিয়ে ভার্জের প্রতিবেদন জানিয়েছে, ট্রাম্পের পোস্ট দেখার পর জাকারবার্গের প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল “ন্যাক্কারজনক”। “এরকম একটি সময়ে আমাদের নেতারা এভাবে উপস্থিত হবেন তা ভাবতে পারিনি আমি”। - ওই অডিওতে বলতে শোনা গেছে জাকারর্বার্গকে।