ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় কিছুদিন আগেই জানিয়েছিলেন, সামাজিক মাধ্যমে তদন্ত করতে কমিশন তৈরি করে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবছেন তিনি। অভিযোগ তুলেছিলেন, সামাজিক মাধ্যমগুলো রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপারে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো উগ্র বামপন্থীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন। ওই ঘটনার পরপরই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে জানালো হোয়াইট হাউজ। -- খবর বিবিসি’র।
এরইমধ্যে মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের টুইটে ‘ফ্যাক্ট-চেক’ বা সত্যতা যাচাইকরণ লেবেল সেঁটে দিয়েছে টুইটার। ঠিক কী ধরনের নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প স্বাক্ষর করবেন বা কংগ্রেসে নতুন আইন পাশ করা ছাড়াই কোন ধরনের নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট নিতে পারবেন, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
বুধবার এ বিষয়ে বাড়তি কোনো তথ্য দেননি ট্রাম্পের সঙ্গে এয়ারফোর্স ওয়ানে সফররত হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা। মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ দেখতে ওয়াশিংটন থেকে ফ্লোরিডা রওনা হওয়ার পথে আবারও টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপারে পক্ষপাতের অভিযোগ করেন তিনি।
পরে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লেখেন, “এখন ওরা পুরো পাগল হয়ে গেছে, আমাদের সঙ্গেই থাকুন!!!”
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, মঙ্গলবার ট্রাম্পের টুইটে সত্যতা যাচাইকরণ লেবেল সেঁটে দেওয়ার পর সামাজিক মাধ্যম বনাম ডনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ের আগুন আবারও জ্বলে উঠেছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, “কোনো উপায় নেই (শূন্য!) মেইল-ইন ব্যালটগুলো ব্যাপক জালিয়াতির চেয়ে কম কিছু হবে না।”
পরে ওই টুইটকে ‘অপ্রমাণিত’ আখ্যা দিয়ে লেবেল সেঁটে দেয় টুইটার। বুধবার আরেক টুইটে সামাজিক মাধ্যমগুলোকে “কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ” বা প্রয়োজনে “বন্ধ করে” দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প। বর্তমানে টুইটারে ট্রাম্পের অনুসারী সংখ্যা আট কোটিরও বেশি।
টুইটার প্রধান জ্যাক ডরসি একাধিক টুইটে টুইটারের সত্যতা যাচাইকরণ নীতিমালা প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমরা বৈশ্বিকভাবেই নির্বাচন সম্পর্কিত ভুল বা বিতর্কিত ব্যাপারগুলো চিহ্নিত করতে থাকব।”
বুধবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ বলেন, সেন্সরশিপের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন কোনো সরকারের জন্য সামাজিক মাধ্যমকে সেন্সর করা “ঠিক হবে না”।
গত কয়েক বছরে ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও ভুল তথ্যের ব্যাপারে সমালোচনার মুখে নিজেদের নীতিমালা কঠোর করেছে টুইটার।
মার্কিন বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে একচেটিয়া আচরণ এবং ব্যবহারকারীর গোপনতা লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক প্যানেলের অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে অ্যাপল, গুগল, ফেইসবুক এবং অ্যামাজনের মতো প্রতিষ্ঠান।
বুধবার নিউ ইয়র্কে লেনদেন চলাকালে টুইটার ও ফেইসবুক দুটি প্রতিষ্ঠানেরই শেয়ার দরপতন হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ফেইসবুক, টুইটার এবং গুগল।