যুক্তরাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলও ৫জি'র কল্যাণে এখন সামনের সারিতে

প্রচলিত ৪জি'র তুলনায় ৫জি'র ডেটা সক্ষমতা অনেক বেশি। আর ডেটার এই অসম্ভব গতিই সাফল্য এনে দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের প্রান্তিক এলাকা বলে পরিচিত অর্কনি আইল্যান্ডে। ৫জি'র কল্যাণে তারা এখন আর নিজেদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা ভাবতেও রাজী নন।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 01:05 PM
Updated : 24 May 2020, 01:05 PM

বিশ্বের যে কয়েকটি স্থানে ৫জি আগে পৌঁছেছে, তার মধ্যে একটি হলো যুক্তরাজ্যের সর্ব উত্তরের এই দ্বীপগুচ্ছ। স্থানটিতে পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি সংযোগ আগে এসেছে। ৫জি’র বদৌলতে পৃথিবীর আর দশটি প্রযুক্তিপ্রধান স্থানের চেয়ে এটি এখন ‘অনেক বেশি সংযুক্ত’।

যুক্তরাজ্যের ‘দ্বিতীয় বৃহত্তম খাদ্য রপ্তানীর’ তালিকায় রয়েছে স্যামন। প্রতিকূল পরিবেশে ৫জি প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মাছটি চাষ করছে অর্কনির ‘স্কটিশ সি ফার্মস’। দূর থেকেই নানাবিধ সেন্সরের সাহায্যে তারা নজর রাখছেন মাছের বিপাক কর্মকাণ্ডে, পানির অক্সিজেন মাত্রায় এবং তাপমাত্রায়। আর এতে নিয়ামক হিসাবে ভূমিকা রাখছে ৫জি।

পানির অক্সিজেনের মাত্রা এবং তাপমাত্রা, শীতল রক্তের স্যামন মাছের বিপাক ক্রিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে মূল ভূখণ্ডে থাকা চাষীদের হাতে পৌঁছে যায় পানির বিভিন্ন তথ্য। এ ছাড়াও ভূখণ্ডে বসেই মাছেদের ‘লাইভ ভিডিও ফিড’ দেখে থাকেন চাষীরা, দূর থেকেই মাছের স্বাস্থ্যে নজর রাখা এবং খাবার দিতে পারছেন তারা।

“স্কটিশ সি ফার্মের হিসেব থেকে বলতে হয়, আমরা সম্ভবত এখনও ৫জি প্রযুক্তির প্রাথমিক অবস্থাতেই রয়েছি”। - বলেছেন স্কটিশ সি ফার্মের আঞ্চলিক উৎপাদন ব্যবস্থাপক রিচার্ড ডার্বিশায়ার।

শুধু স্যামন মাছ রপ্তানী থেকেই ২০১৭ সালে ৯০ কোটি ডলার আয় করেছে যুক্তরাজ্য। ২০১৮ সালে স্কটিশ সি ফার্মসের ৪০টি ফার্ম থেকে স্যামন মাছ এসেছে ২৭,৫০০ টন। পরবর্তীতে ‘৫জি রুরাল ফার্স্ট’ কর্মসূচীতে অংশ নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ৫জি সম্পর্কিত এই স্কিমের আংশিক অনুদানে রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার।

প্রত্যন্ত ওই অঞ্চলে ৫জি বাস্তবায়নে শিক্ষাভিত্তিক সংস্থা, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং উদ্যোগ বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করেছিল মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো। এ প্রসঙ্গে সিসকো ইউরোপের উদ্ভাবন বিভাগের পরিচালক নিক ক্রিসোস বলেন, “এ ধরনের কাঠামো সব প্রত্যন্ত অঞ্চলে জুড়ে দিয়ে আমরা একদিক থেকে প্রত্যন্ত শিল্পগুলোতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা তৈরি করছি, অন্যদিক থেকে আমরা ডিজিটাল বিভক্তিকে মুছে ফেলছি, প্রত্যন্ত কমিউনিটিতে সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। এবং শুধু এর প্রভাবই অনেক বড়। আপনি হয়তো অনেককে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে যেতে দেখবেন, কারণ ওখানে সংযোগ শহরের মতোই ভালো”।